Plea to Rename India as Bharat: 'ইন্ডিয়া'-এর পরিবর্তে 'ভারত' ব্যবহারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট

আবেদনকারী উল্লেখ করেন যে, ১৯৪৮ সালের ১৫ নভেম্বর গণপরিষদের বিতর্কের সময় দেশের নাম পরিবর্তন করে 'ভারত' বা 'হিন্দুস্তান' রাখার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। তবে, সংবিধানের চূড়ান্ত সংস্করণে দুটি নামই বহাল রাখা হয়েছিল, ফলে বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে

Delhi High Court (Photo Credits: ANI)

সংবিধান সংশোধন করে "ইন্ডিয়া" শব্দটি "ভারত" বা "হিন্দুস্তান" দিয়ে প্রতিস্থাপনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অবিলম্বে মেনে চলতে হবে বলে  কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট । বিচারপতি শচীন দত্ত আবেদনকারীকে এই বিষয়ে তাদের আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতিও দিয়েছেন।

আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন- গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির বাসিন্দা নামাহার দায়ের করা একটি আবেদনে নোটিশ জারি করেছিল যেখানে নাগরিকরা ঔপনিবেশিক প্রভাব ত্যাগ করতে পারে, তার জন্য 'ইন্ডিয়া' শব্দটি 'ভারত/হিন্দুস্তান' দিয়ে প্রতিস্থাপন করে সংবিধান সংশোধনের নির্দেশ চাওয়া হয়। এর আগে, নামাহা একই রকম একটি আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, কেন্দ্রকে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ৩ জুন,২০২০ সালে, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে আবেদনটি একটি প্রতিনিধিত্ব হিসাবে বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলি তা বিবেচনা করবে।  কিন্তু সাম্প্রতিক আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকারকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে সরকার এই সমস্যা সমাধানের অনুরোধ উপেক্ষা করেছে। তাই আবেদনকারীর কাছে এই আদালতের কাছে যাওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই, কারণ প্রতিনিধিত্বের উপর নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিবাদীদের কাছ থেকে কোনও আপডেট পাওয়া যায়নি।

নতুন আবেদনে  আদালতকে  কেন্দ্রকে সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল, যা ইউনিয়নের নাম এবং অঞ্চল সম্পর্কিত এবং "ইন্ডিয়া"-এর পরিবর্তে "ভারত/হিন্দুস্তান" রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল। এতে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে 'ইন্ডিয়া' নামটি একটি ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য যা দেশের সভ্যতার ঐতিহ্যকে পুরোপুরি প্রতিনিধিত্ব করে না অন্যদিকে 'ভারত' শব্দটি তার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পরিচয়ের গভীরে প্রোথিত।

আবেদনকারী উল্লেখ করেন যে, ১৯৪৮ সালের ১৫ নভেম্বর গণপরিষদের বিতর্কের সময় দেশের নাম পরিবর্তন করে 'ভারত' বা 'হিন্দুস্তান' রাখার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। তবে, সংবিধানের চূড়ান্ত সংস্করণে দুটি নামই বহাল রাখা হয়েছিল, ফলে বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

“এই আবেদনে ভারতকে আমাদের জাতির একমাত্র নাম হিসেবে নিশ্চিত করে সেই অসমাপ্ত কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে,” আবেদনে বলা হয়েছে। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকে, আবেদনকারী সক্রিয়ভাবে বিষয়টি অনুসরণ করে অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য একটি আরটিআই দায়ের করেছেন। তবে, প্রতিক্রিয়ায় জানা গেছে যে কোনও সুনির্দিষ্ট সমাধান ছাড়াই তার প্রতিনিধিত্ব সরকারি বিভাগগুলির মধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বিশেষ বিমান ব্যবহার করা হয় তাতে ‘‘ভারত’’ নাম খোদাই করা আছে। এর আগে পাঠ্যবইতে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে দেশের নাম হিসাবে শুধু ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে এনসিইআরটি। তাদের সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছে সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি ব্যবহার করার দরকার নেই। বদলে সব জায়গায় ব্যবহার করা হোক ‘ভারত’ শব্দটি।কমিটির সুপারিশ, ইতিহাসের ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বদলে পড়ানো হবে সনাতনী ভারতীয় ইতিহাস।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement