অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হয়ে ভারতীয় সেনার বুলেটের মুখে পাক জঙ্গির দল, পৈতৃক প্রাণ বাঁচাতে দিল ছুট(দেখুন ভিডি)

পাকিস্তান যতই বলুক না কেন ফের পুলওয়ামার ছকে কাশ্মীরে নাশকতা চলবে। আসতে তা যে শুধুই ফাঁকা বুলি, ফের প্রমাণ করে দিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। কুপওয়ারাতে (Kupwara sector) সেনা জওয়ানদের গুলি বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে চার জঙ্গি পড়িমড়ি করে দে দৌড়। কাঁধে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও তা ব্যবহারের সুযোগ নেই। সে চান্স নিতে গেলে সেনার গুলিতে পৈতৃক প্রাণ যাবে আর কি।

সেনার বুলেটের ভয়ে পাক জঙ্গির দে দৌড়(Photo Credit ANI)

শ্রীনগর, ২৭ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তান যতই বলুক না কেন ফের পুলওয়ামার ছকে কাশ্মীরে নাশকতা চলবে। আসতে তা যে শুধুই ফাঁকা বুলি, ফের প্রমাণ করে দিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। কুপওয়ারাতে (Kupwara sector) সেনা জওয়ানদের গুলি বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে চার জঙ্গি পড়িমড়ি করে দে দৌড়। কাঁধে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও তা ব্যবহারের সুযোগ নেই। সে চান্স নিতে গেলে সেনার গুলিতে পৈতৃক প্রাণ যাবে আর কি। পাকিস্তানের ফটর ফটর যে ভারতীয় সেনার বুলেটের ডগায় এলে থেমে যায় এই ছবি তারই নিদর্শন। সোমবার সকালে চেন্নাইয়ে অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিক বৈঠক করে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, পাকিস্তানের বালাকোটে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে জইশ-ই-মহম্মদ। এ ছবি তারই উদাহরণ।

আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ইজরায়েলি বোমা নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে জইশের অন্তত ৫০০ জঙ্গি। যে কোনও মুহূর্তে হামলা রুখতে নিয়ন্ত্রণরেখায় সতর্কতা অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধানের এই কথা মনে করতে গিয়ে আরও একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, যতই গুলি বন্দুক নিয়ে সীমান্তে হইচই জুড়ে দিক পাক জঙ্গিরা তাতে সত্যিই কিছু যায় আসে না। কেননা সেনার বুলেটের মুখে মরার জন্যেই এইসব জঙ্গিদের জন্ম হয়েছে। এই ভিডিও গত ৩০ জুলাইয়ের। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। তাদের মদত দেয় পাক সেনা। এই চার জঙ্গি কোন সংগঠনের সেটা জানা না গেলেও, ওই দিন নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে উপত্যকায় অস্ত্র পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল তারা। ভারতীয় বাহিনীর গতিবিধির উপরেও নজরদারি চালাচ্ছিল। সেই সময় গর্জে ওঠে জওয়ানদের বুলেট। পিছু হটতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। তাদের হুড়োহুড়ি করে পালানোর ভিডিও সামনে আনা হয়েছে। আরও পড়ুন-এনসিপি সমর্থকদের কল্যাণে থমকে যেতে পারে মুম্বই, শরদ পওয়ারকে ইডির দপ্তরে না যেতে অনুরোধ পুলিশের

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রচুর জঙ্গি জড়ো হয়েছে বলে সেনাকে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দারা। পাকিস্তান এই জঙ্গিদের ভারতে প্রবেশ করিয়ে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও অশান্ত করে তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু সেনাদের সজাগ প্রহরা আটকে দেয় জঙ্গিদের সেই অনুপ্রবেশ। এমনকী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে তৈরি হচ্ছে সেনা এই খবরের আভাস আগেই দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।