সাহসিকতাকে কুর্নিশ, স্বাধীনতা দিবসে বীর চক্র পাচ্ছেন অভিনন্দন বর্তমান
পুরনো মিগ ২১ বাইসন জেট ছুটিয়ে পাকিস্তানের এফ ১৬ কে তখন প্রবল বেগে ধাওয়া করছিলেন ভারতীয় বায়ু সেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান (Indian Air Force Wing Commander Abhinandan Varthaman)। তারপর ঠিক কি কি হয়েছিল তা আজ ভারতীয়দের সবটাই জানা। এহেন সাহসিকতার জন্য আগামীকাল স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বীর চক্র (Vir Chakra) পাচ্ছেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।
দিল্লি, ১৪ আগস্ট: পুরনো মিগ ২১ বাইসন জেট ছুটিয়ে পাকিস্তানের এফ ১৬ কে তখন প্রবল বেগে ধাওয়া করছিলেন ভারতীয় বায়ু সেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান (Indian Air Force Wing Commander Abhinandan Varthaman)। তারপর ঠিক কি কি হয়েছিল তা আজ ভারতীয়দের সবটাই জানা। এহেন সাহসিকতার জন্য আগামীকাল স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বীর চক্র (Vir Chakra) পাচ্ছেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ভারতীয় সেনায় অবদান রাখার জন্য তিনটি সম্মাননা রয়েছে যথাক্রমে পরম বীর চক্র (Paramvir Chakra), মহা বীর চক্র (Mahavir Chakra) ও বীর চক্র। এই বীর চক্র সম্মান পাচ্ছেন অভিনন্দন বর্তমান। আরও পড়ুন-এবার কি ওকালতি ছেড়ে বিজেপিতে সুষমা কন্যা বাঁশুরি স্বরাজ? রাজধানীতে গুঞ্জন
পুলওয়ামা হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে সবক শেখানোর সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছিলেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। দেশপ্রেমে উদ্বেলিত অভিনন্দনের কানেও পৌঁছায়নি কন্ট্রোল রুমের ঘোষণা। ভারতের সীমা অতিক্রম করার মুখেই ভারতীয় বায়ুসেনার কন্ট্রোল রুম থেকে ভেসে আসে ‘টার্ন কোল্ড! টার্ন কোল্ড!’ অর্থাৎ ‘আর যেও না, ফিরে এসো।’ শত্রুপক্ষের ফাইটার জেট অনেক বেশি শক্তিশালী, অতএব বিপদ আসতে পারে যে কোনও মুহূর্তেই। কিন্তু ফিরে আসার ডাক শুনতে পাননি অভিনন্দন। কারণ ভারতের সীমা ছাড়াতেই পাকিস্তানের রেডিয়ো জ্যামার পুরোপুরি কব্জা করে ফেলেছিল পুরনো প্রযুক্তির মিগের কন্ট্রোল সিস্টেমকে। মিগ-২১ বাইসন জেটের কলকব্জা যে আগেই বাতিলের খাতায় ঢুকে গেছে সে ব্যাপারে বারে বারেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি বায়ুসেনার আধিকারিকরাই স্বীকার করেছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারির সেই আকাশ-যুদ্ধে পাক সেনাদের হাতে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের আটক হওয়ার মূল কারণ ছিল মিগ ফাইটার জেটের ব্যর্থতা। পুরনো মিগ দিয়েই আমেরিকার বানানো নয়া প্রযুক্তির এফ-১৬ ফাইটার জেটকে গুলি করে নামিয়েছিলেন অভিনন্দন। ঝুঁকি নিয়েছিলেন সাহসের সঙ্গে। কিন্তু মিগ উড়িয়ে ফিরে আসতে পারেননি। বন্দি হয়েছিলেন পাক বাহিনীর হাতে। তাঁর প্রাণ সংশয়ও হতে পারত। বায়ুসেনা সূত্র জানাচ্ছে, এতকিছু হতোই না, যদি কন্ট্রোল রুমের আওয়াজ শুনতে পেতেন অভিনন্দন, শত্রুপক্ষের জ্যামারের প্রভাব মিগের যোগাযোগ মাধ্যমকে নষ্ট করে না দিত।
সেই সাহসিকতার পুরস্কার পেতে চলেছেন তিনি। পাক সেনার হাতে অভিনন্দন বর্তমানের গ্রেপ্তারির পর কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। উইং কম্যান্ডার আর দেশে ফিরতে পারবেন কি না তানিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল, তবে শেষপর্যন্ত প্রার্থনার ফল মিলেছে। দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরেই ফের বায়ু সেনার বিমানের ককপিটে ফেরার আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনন্দন। এদিকে উইং কম্যান্ডারের সম্মাননার খবর ছড়াতেই দেশজুড়ে খুশির হাওয়া।