Three-Language Formula: স্কুলে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার নীতি থেকে পিছু হটছে মোদি সরকার
নতুন শিক্ষা নীতিতে দেশজুড়ে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক ভাষা করার পথে এগিয়েছিল মোদি সরকার। মোদি টু সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, দেশজুড়ে শিক্ষায় হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার পথে এগিয়েছিলেন।
নয়া দিল্লি, ৩ জুন: নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি (National Education Policy)- তে দেশজুড়ে হিন্দি (Hindi)-কে বাধ্যতামূলক ভাষা করার পথে এগিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। মোদি টু সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, দেশজুড়ে শিক্ষায় হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার পথে এগিয়েছিলেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করার কথা শোনা যায়। কিন্তু দক্ষিণ ভারত জুড়ে তীব্র বিরোধিতার জেরে পিছু হটছে কেন্দ্রীয় সরকার। অহিন্দিভাষীদের প্রতিবাদের জেরে খসড়ায় পরিবর্তন এনে হিন্দিকে ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবেই রাখা হচ্ছে।
দক্ষিণ ভারত সহ অহিন্দিভাষা অঞ্চলে প্রতিবাদের পর এখন বলা হচ্ছে ছাত্রদের মধ্যে হিন্দি বাধ্য়তামূলক করার কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হবে না। মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ নিশাঙ্ক দায়িত্ব পাওয়ার পরই নতুন শিক্ষা নীতির খসড়া জমা পড়েন তাতে স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। বিরোধীদের দাবি, শিক্ষায় গৈরিকীকরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার— আরএসএসের স্লোগান 'হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান' বাস্তবে রূপায়ন করতে নয়া শিক্ষা নীতির খসড়া এমনটা করা হয়েছে।
এনডিএ শরিক AIADMK সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন দল হিন্দিকে জোর করে চাপানোর অভিযোগে একযোগে নিন্দা শুরু করে। কেরলে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট করেন, দক্ষিণ ভারতের অনেক জায়গায় হিন্দিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো হয়, তাহলে উত্তর ভারতের তামিল-তেলেগু কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় না! অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হলে দেশের বহুত্ববাদী চিন্তাধারায় আঘাত লাগবে বলে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে আওয়াজ উঠতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় #StopHindiImposition আন্দোলনও শুরু হয়।
১৯৮৬-তে শিক্ষা নীতি তৈরি হয়, যা সংশোধিত হয় ১৯৯২ সালে। নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার দেশের ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৪-র ইস্তাহারেই নতুন শিক্ষা নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বার সরকারে এসে প্রথম একশো দিনের মধ্যেই নতুন শিক্ষা নীতি চূড়ান্ত করতে চাইছে সরকার। এবারের নতুন শিক্ষা নীতি অনুযায়ী- শিক্ষার অধিকার আইনে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিখরচায় বাধ্যতামূলক শিক্ষা। স্কুলের আগে তিন বছরের প্রাক্-স্কুল শিক্ষা হবে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বলে কিছু থাকবে না। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি মাধ্যমিক শিক্ষা, প্রতি বছর ভাগ করা হবে দু’টি সেমেস্টারে। তিন বছরের বদলে চার বছরের অনার্সের স্নাতক স্তর চালু হতে চলেছে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)