উত্তরাখণ্ডে এক বছরের জন্য গুটখা, পান মশলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

গুটখা (gutka) ও পান মশলাসহ (Pan Masala) বেশ কয়েকটি পণ্যের উৎপাদন, মজুত, বিতরণ ও বিক্রি একবছরের জন্য নিষিদ্ধ করল উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার। রাজ্য সরকার এক নির্দেশিকায় প্রচুর পরিমাণ তামাক এবং নিকোটিন আছে এমন কয়েকটি পণ্য বিক্রয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ANI-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার এই পার্বত্য রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার নীতেশ কুমার ঝা (Food Safety Commissioner Nitesh Kumar Jha) এই নির্দেশ জারি করেছেন।

ফাইল ফোটো (Photo credits: PTI)

দেরাদুন, ১৯ অক্টোবর: গুটখা (gutka) ও পান মশলাসহ (Pan Masala) বেশ কয়েকটি পণ্যের উৎপাদন, মজুত, বিতরণ ও বিক্রি একবছরের জন্য নিষিদ্ধ করল উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার। রাজ্য সরকার এক নির্দেশিকায় প্রচুর পরিমাণ তামাক এবং নিকোটিন আছে এমন কয়েকটি পণ্য বিক্রয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ANI-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার এই পার্বত্য রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার নীতেশ কুমার ঝা (Food Safety Commissioner Nitesh Kumar Jha) এই নির্দেশ জারি করেছেন। তামাক এবং নিকোটিন জতীয় পণ্যগুলির স্বাস্থ্যে ক্ষতিকারক প্রভাব বিবেচনা করেই গুটখা এবং পান মশলা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

নিষেধাজ্ঞার পেছনে কারণ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া যে কোনও পণ্যতে তামাক এবং নিকোটিন জাতীয় উপাদান ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আরও পড়ুন: Maharashtra Elections 2019: শিব সেনায় যোগ দিলেন বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের দেহরক্ষী শেরা

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে গুটখা, পান মশলাসহ আরও বেশ কয়েকটি একই ধরনের পণ্য বিভিন্ন নামে বিক্রি করা হচ্ছে। যেগুলিতে নিকোটিনের পরিমাণ মারাত্মক বেশি রয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে, দিল্লি সরকার রাজধানীতে গুটখা, পান মশলা এবং অন্য যে কোনও তামাকজাত পণ্য উৎপাদন, মজুত, বিক্রি বা বিতরণে নিষেধাজ্ঞা এক বছরের জন্য বাড়িয়েছে। তবে সিগারেটে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়নি।

১৮ সেপ্টেম্বর দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে ই-সিগারেট। এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (FM Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, ই-সিগারেটের দোকান থেকে শুরু করে কারখানা, আমদানি রপ্তানি, বিক্রি, বিজ্ঞাপন এমনকী, ই-সিগারেট ধুমপায়ী এই ধরনের কোনও কিছু জানতে পারলেই জরিমানার খাঁড়া নিশ্চিত। যদি কেউ ই-সিগারেট স্টোর করার চেষ্টা করেন তিনিও শাস্তি এবং জরিমানার কবলে পড়তে চলেছেন। মূলত আরএসএস-এর শাখা সংগঠন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন বা বিকেইউ-র তরফে এনিয়ে দরবারের পরেই অর্থমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ই-সিগারেটের রমরমায় মার খাচ্ছে দেশের তামাক চাষীরা। কেননা এমনি সিগারেটের বিক্রি কমাতে তামাকের প্রয়োজনও কমেছে। ফলে চাষ হলেও তামাকের বিক্রি পড়ায় বিপাকে চাষিরা।



@endif