Gujarat High Court: অসমবয়সী শিক্ষকের চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়া ছাত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকারী, নির্দেশ গুজরাট হাইকোর্টের

৪৫ বছরের এক কলেজ অধ্যাপক জোর করে ১২ বছরের ছোট এক ছাত্রীকে তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে তিনি জানতে পারেন যে ওই অধ্যাপকের আগেও বিয়ে হয়েছিল। আর তাঁর দুটি সন্তানও আছে।

প্রতীকী ছবি

আমেদাবাদ: ৪৫ বছরের এক কলেজ অধ্যাপক (College Professor) জোর করে (forced) ১২ বছরের ছোট এক ছাত্রীকে (Girl Student) তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে তিনি জানতে পারেন যে ওই অধ্যাপকের আগেও বিয়ে হয়েছিল। আর তাঁর দুটি সন্তানও আছে। এরপরই বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় গুজরাটের একটি পারিবারিক আদালতে (Family court) তাঁর সঙ্গে বলপূর্বক বিয়ে (forced to marry) করা হয়েছে এই অভিযোগে নিষ্ঠুরতার গ্রাউন্ডে (ground of cruelty) বিবাহ বিচ্ছেদের (divorce) মামলা করেন ওই ছাত্রী। সেই মামলায় জয়ীও হন তিনি। এরপর ওই অধ্যাপক গুজরাট হাইকোর্টে (Gujarat High Court) নিন্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানান।

তার ভিত্তিতে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি এনভি আনজারিয়া এবং সন্দীপ এন ভাট্টার ডিভিশন বেঞ্চ উভয়পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর নিন্ম আদালতের রায়কেই মান্যতা দেয়। তারা জানায়, নিষ্ঠুরতার সেই অর্থে নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। একজন ছাত্রীকে জোর করে শিক্ষককে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। দুজনের মধ্যেই বয়স ও পরিস্থিতির অনেকটা পার্থক্য ছিল। আর বিয়ের পর যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তার জেরে ওই ছাত্রীটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে বাধ্য হয়। এটাই প্রমাণ করে যে তিনি নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন।

এই মামলা সম্পর্কে জানা গেছে, ছাত্রীটি কলেজে ওই অধ্যাপকেরই ছাত্রী ছিলেন। সেইসময়ই ছাত্রীটিকে অধ্যাপকটি চাপ দিয়ে বলে তিনি যা বলছেন তা না শুনলে ছাত্রীটিকে ফেল করিয়ে দেবেন। তার পাশাপাশি প্রায়দিনই ফোন করে ওই অধ্যাপক ছাত্রীটিকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিত। বলত, যদি ওই ছাত্রী তাকে বিয়ে করে তাহলে অধ্যাপকের দুই সন্তান মায়ের ভালোবাসা পাবে। কারণ তার আগে বিয়ে করা স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর কিছু কাগজপত্রে ওই ছাত্রীকে দিয়ে সই করিয়ে নেয় অভিযুক্ত অধ্যাপক। পরে ছাত্রীটি জানতে পারে ওই কাগজগুলি বিবাহের আবেদনপত্র ছিল।

এভাবে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে ছাত্রীটিকে বিয়ে করে নিজের বাড়িতে এনে তোলে ওই অধ্যাপক। এরপরই ছাত্রীটি জানতে পারেন অধ্যাপকের প্রথম স্ত্রী বেঁচে আছেন ও বিয়েটাও ভাঙেনি। পাশাপাশি ছাত্রীটির আরও অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রথম থেকেই বাপের বাড়ি থেকে ফার্নিচার কেনার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পণ নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়। সেই সঙ্গে তাঁকে তিনবার গর্ভপাত করতে বাধ্য করে। শেষে বাধ্য হয়েই আমরেলি জেলার পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করে ছাত্রীটি।