Amartya Sen On CAA: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন করেছে: অমর্ত্য সেন
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে মুখ খুললেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Nobel Laureate Amartya Sen )। বুধবার বেঙ্গালুরুতে তিনি বলেন, "নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন (Violates constitutional provisions) করেছে।" তিনি বলেন, "আমার মতে যে সিএএ আইন পাস হয়েছে তা অসাংবিধানিক বলে প্রমাণ করে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। কারণ নাগরিকত্বকে ধর্মীয় পার্থক্যের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট ধরণের মৌলিক মানবাধিকার থাকতে পারে না।" নোবেল জয়ী বলেছেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আসলে গুরুত্বপূর্ণ হল সংশিষ্ট ব্যক্তি কোথায় জন্মেছিলেন ও কোথায় বসবাস করছেন।
বেঙ্গালুরু, ৮ জানুয়ারি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে মুখ খুললেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Nobel Laureate Amartya Sen )। বুধবার বেঙ্গালুরুতে তিনি বলেন, "নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন (Violates constitutional provisions) করেছে।" তিনি বলেন, "আমার মতে যে সিএএ আইন পাস হয়েছে তা অসাংবিধানিক বলে প্রমাণ করে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। কারণ নাগরিকত্বকে ধর্মীয় পার্থক্যের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট ধরণের মৌলিক মানবাধিকার থাকতে পারে না।" নোবেল জয়ী বলেছেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আসলে গুরুত্বপূর্ণ হল সংশিষ্ট ব্যক্তি কোথায় জন্মেছিলেন ও কোথায় বসবাস করছেন।
তিনি বলেন, "সংশোধিত আইনটি পড়ে আমি বলছি যে এটি সংবিধানের বিধান লঙ্ঘন করছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে আলোচনার বিষয় ছিল। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য এই জাতীয় বৈষম্যের উদ্দেশ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।" অমর্ত্য সেন অবশ্য জানিয়েছেন যে ভারতের বাইরে হিন্দুদের নির্যাতন করা হয়। এবং তাদের সহানুভূতি প্রাপ্য এবং তাদের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। নোবেল জয়ী বলেন, তবে এই ধরনের ঘটনার জন্য কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিবেচনা করতে গেলে ধর্ম থেকে স্বতন্ত্র থাকতে হবে। তবে দুর্ভোগ এবং অন্যান্য বিষয়গুলিকে বিবেচনায় নিতে হবে। আরও পড়ুন: JNU Violence: খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ক্যাম্পাসে বাইরের লোকদের ঢুকে আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজে বাধা দিতে পারেনি।" তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যে যোগাযোগ দেরিতে হয়েছে। যার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।"