আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, ২২জন আয়কর কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাল সিবিআইসি

দুদিন আগেই আয়কর আদায়ের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ নিজেই (Nirmala Sitha Raman) জানিয়েছেন, আয়কর বিভাগের কর্তাব্যক্তির খামখেয়ালিপনা আর বরদাস্ত করা হবে না। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল ঠগ বাছার কাজ। দুর্নীতির অভিযোগে সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদমর্যাদার ২২ জন সিনিয়র আয়কর কর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ালো সিবিআইসি।

কেন্দ্রীয় অপ্রত্যক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড(Photo Credit: ANI)

দিল্লি, ২৬ আগস্ট: দুদিন আগেই আয়কর আদায়ের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ নিজেই (Nirmala Sitha Raman) জানিয়েছেন, আয়কর বিভাগের কর্তাব্যক্তির খামখেয়ালিপনা আর বরদাস্ত করা হবে না। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল ঠগ বাছার কাজ। আয়কর দাতারা সময় মতো আয়কর দেন না, এই অভিযোগ যেমন আছে, তেমনই আরও একটি অভিযোগ বিদ্যমান, আয়কর কর্তারাও ধোয়া তুলসীপাতা নন, আ্তীক দুর্নীতির অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধেও রয়েছে। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত আয়কর দাতাদের ছুটি করে দিল কেন্দ্রীয় অপ্রত্যক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড বা সিবিআইসি (CBIC)। দুর্নীতির অভিযোগে সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদমর্যাদার ২২ জন সিনিয়র আয়কর কর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ালো সিবিআইসি।

জানা গিয়েছে, আয়কর বিভাগ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে ও করদাতাদের হয়রানি বন্ধ করতে কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআইসি। ২২জন দুর্নীতিগ্রস্ত আয়কর কর্তার অবসর গ্রহণ সেই অভিযানের শুরুয়াত বলতে পারেন। মৌলিক বিধি ৫৬-র জে ধারা অনুসারেই এদের অবসর দেওয়া হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, চলতি বছরের জুনেই ২৭ জন্য আয়কর কর্তাকে অবসরের চিঠি ধরিয়েছে কেন্দ্রীয় অপ্রত্যক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড। মূলত দুর্নীতি মূলক কার্যকলাপ ও অন্যায় আচরণের অভিযোগ ছিল এইসব সিনিয়র আয়কর কর্তাদের বিরুদ্ধে। তারই শাস্তি স্বরূপ সেই সময় এই অবসরের পদক্ষেপ নিয়েছিল সিবিআইসি। আরও পড়ুন-পি চিদম্বরম কি আজ জামিন পাবেন? প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে ফের হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেই সরকারি ক্ষেত্রকে দুর্নীতি মুক্ত রাখতে সাফাই অভিযান শুরু করেছে। সরকারি চাকরিতে যেখানে ঘুঘুর বাসা দেখছে সেখানেই কেন্দ্রের তরফে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া থেকে শুরু করে স্বজনপোষণ, অপরাধমূলক ষড়য্ন্ত্র, অর্থপাচার, তোলা আদায়, আয়ের অতিরিক্ত সম্পত্তির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের একপ্রকার বাধ্যতামূলক ভাবেই অবসর দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় মোদি সরকারের মূল লক্ষ্যই হল নতুন ভারত তৈরি। তাই নতুন কিছু তৈরি করতে হলে তো আগে দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। এখন সেই প্রক্রিয়াই চলছে জোরকদমে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now