Bihar: বিহারে স্থানীয় নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীকে AK-47 হাতে খুনের চেষ্টা

বিহারের সিওয়ান জেলায় আক্রান্ত হলেন রাজ্যের আইন পরিষদ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হওয়া রাইস খান। সোমবার বিহারের আইন পরিষদে ২৪টি আসনে ভোট ছিল। সেই ভোট সেরে অফিস থেকে রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানো রাইস।

পটনা, ৫ এপ্রিল: বিহারের সিওয়ান জেলায় আক্রান্ত হলেন রাজ্যের আইন পরিষদ নির্বাচনে (Bihar MLC election) নির্দল প্রার্থী হওয়া স্থানীয় 'বাহুবলী' রাইস খান (Raees Khan)। সোমবার বিহারের আইন পরিষদে ২৪টি আসনে ভোট ছিল। সেই ভোট সেরে অফিস থেকে রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানো রাইস। রইসের গাড়ি ফাঁকা রাস্তায় যেতেই চার-পাঁচজন দুষ্কৃতীর দল রইসের কনভয়কে ঘিরে ধরে। তাদের মধ্যে একজনের হাতে ছিল AK 47 দুজনের হাতে বন্দুক। রইসের গাড়ির পিছনে একটা বিয়েবাড়ির গাড়ি যাচ্ছিল। রইসের গাড়ির চালক বিপদ বুঝতে পেরে ততপরতা দেখিয়ে অন্যদিকে মোড় নিয়ে নেয়।

ঘাবড়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে আহত হন নির্দিল প্রার্থী রাইস। আর এলোপাথাড়িভাবে চালানো গুলি গিয়ে লাগে পিছনের বিয়ে বাড়ির যাত্রীর গায়ে। বুলেটের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিনয় যাদব (৩০)-নামের এক গ্রামবাসী। পাশাপাশি সেই গাড়ির আরও দুই যাত্রী বুলেটের আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি।

বড় অপরাধী থেকে রাজনীতিতে আসা রইস খান এই অঞ্চলের বড় নাম। সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুর পর সিওনে এখন রইসের দাপট। রইসের গায়ে গুলি লাগলেও হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তিনি এখন বিপদমুক্ত। এসপি শৈলশ কুমার সিনহা রাতে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান। ভোট প্রচারের মাঝে নিজের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে প্রশাসনের কাছে এলেও, রইসকে কোনওরকম নিরাপত্তাই দেওয়া হয়নি বলে তার পরিবারের অভিযোগ। রইসের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন জেডিইউ বিধায়ক শ্যাম বাহাদুর সিং জানান, " আমার ভাই বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু যারা ওকে মারার চেষ্টা করল তারা এতটা ভাগ্যবান হবে কি না জানি না। যারা এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে মারার চেষ্টা করল, তারা কোনওভাবেই ছাড়া পাবে না।"