'Bharat Bandh on September 25': কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ভারত বনধের ডাক ২৫০ কৃষক সংগঠনের

লকডাউনের মধ্যেও ভারত বনধ (Bharat Bandh)। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি (All India Kisan Sangharsh Coordination Committee) বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত বনধের ঘোষণা করেছে। দিনকয়েক আগে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ করানো হয় কৃষি বিল (Agriculture Reform Bills)। এই বিল সংশোধনের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামছে কমবেশি ২৫০টি কৃষক সংগঠন। শ্রম আইন ভেঙেচুরে নতুন করে তৈরির প্রতিবাদ জারি রেখেছে শ্রম ইউনিয়ন (Labour Union)। যার জেরে ভারত বনধে তাদের সমর্থনও আশা করছে কৃষক সংগঠন।

Farmers protesting against the central government | (Photo Credits: PTI)

নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর: লকডাউনের মধ্যেও ভারত বনধ (Bharat Bandh)। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি (All India Kisan Sangharsh Coordination Committee) বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত বনধের ঘোষণা করেছে। দিনকয়েক আগে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ করানো হয় কৃষি বিল (Agriculture Reform Bills)। এই বিল সংশোধনের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামছে কমবেশি ২৫০টি কৃষক সংগঠন। শ্রম আইন ভেঙেচুরে নতুন করে তৈরির প্রতিবাদ জারি রেখেছে শ্রম ইউনিয়ন (Labour Union)। যার জেরে ভারত বনধে তাদের সমর্থনও আশা করছে কৃষক সংগঠন।

কৃষি সংক্রান্ত দু’টি বিল পাশ ঘিরে রাজ্যসভায় তুলকালাম হয়। বিরোধীদের বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করে ধ্বনিভোটে পাশ হয় কৃষি বিল। বিরোধী দলগুলি সোচ্চার হয় এই বিলের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিলের পক্ষেই সওয়াল হয়েছেন। এবার কৃষকেরা পথে নেমে সেই বিল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাবে। সংগঠনগুলির বক্তব্য, লকডাউনের মাঝে কর্পোরেট সংস্থগুলি সরকারকে চাপে রেখে এই বিলটি পাশ করায়। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকদের থেকে সরাসরি ফসল কেনার বিষয়টিতে থাবা বসানোর চেষ্টা করেছিল বেসরকারি সংস্থাগুলি। এই বিল পাশের জেরে একটি বিরাট সংখ্যক মানুষ কাজ হারাবে এবং কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে না বলে দাবি করেছে কৃষক সংগঠনগুলি।

কৃষি বিল পাশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ভারত বনধের সপক্ষে আন্দোলনে নেমেছে জয় কিষাণ আন্দোলন, অল ইন্ডিয়া কিষাণ মজদুর সভা, অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা এবং ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়ন। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন, আরএসএসের একটি শাখা যারা ভারত বনধের স্বপক্ষে সরাসরি মাথা তুলে না দাঁড়ালেও ন্যায্য মূল্যের বিষয়টি যেন সরকার আইনি পদক্ষেপ নেয়, এই দাবি জানিয়েছে তারা।