Bengal Thief: বহুমূল্য সোনা ও হীরের গয়না চুরি করে ট্রেনে করে পালাচ্ছে পরিচারক, বিমানে চড়ে আগেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে চোরকে পাকড়াও পুলিশের

মহামূল্য সোনা ও হীরের গয়না চুরি করে চোর ভেবেছিল এ যাত্রায় বুঝি রক্ষে পেয়েছে। কিন্তু চোরকে যে ধরে সে তো চোরের থেকেও চালাক হয় তাই না। এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। চুরির দ্রব্য নিয়ে এদিক ওদিক ২-৪দিন কাটানোর পর কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় চোর, কেন না তার বাড়ি বর্ধমানে। তবে বাড়ি পর্যন্ত আর ফেরা হয়নি। পুলিশের তৎপরতায় হাওড়া স্টেশনেই বমাল ধরা পড়ে সে। বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police) তাকে ফের বেঙ্গালুরুতেই ফেরত নিয়ে গেছে। ধৃতের নাম কৈলাস দাশ। সে বছর ছয়েক ধরে বেঙ্গালুরুর জেপি নগরের রাজেশ বাবুর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত। ডেকান হেরল্ডের রিপোর্ট অনুসারে সেই বাড়ি থেকে সোনা ও হীরের গয়না চুরি যায়।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

বেঙ্গালুরু, ২০ অক্টোবর: মহামূল্য সোনা ও হীরের গয়না চুরি করে চোর ভেবেছিল এ যাত্রায় বুঝি রক্ষে পেয়েছে। কিন্তু চোরকে যে ধরে সে তো চোরের থেকেও চালাক হয় তাই না। এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। চুরির দ্রব্য নিয়ে এদিক ওদিক ২-৪দিন কাটানোর পর কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় চোর, কেন না তার বাড়ি বর্ধমানে। তবে বাড়ি পর্যন্ত আর ফেরা হয়নি। পুলিশের তৎপরতায় হাওড়া স্টেশনেই বমাল ধরা পড়ে সে। বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police) তাকে ফের বেঙ্গালুরুতেই ফেরত নিয়ে গেছে। ধৃতের নাম কৈলাস দাশ। সে বছর ছয়েক ধরে বেঙ্গালুরুর জেপি নগরের রাজেশ বাবুর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত। ডেকান হেরল্ডের রিপোর্ট অনুসারে সেই বাড়ি থেকে সোনা ও হীরের গয়না চুরি যায়।

তবে চোর সোনা গয়না সমেত হাওড়া স্টেশনে পৌঁছানোর অনেক আগেই পুলিশ সেখানে চলে আসে। এবং ট্রেন থামলেই হাতেনাতে চোরকে পাকড়াও করে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে রাজেশ বাবুর পরিবারের এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, বিষয়টি নিয়ে গোটা পরিবার যখন ব্যস্ত পরিচারক কৈলাস তখন এই সুযোগটিই কাজে লাগায়। গত ৯ অক্টোবর সোনা, হীরে মিলিয়ে ১.৩ কোটি টাকার গয়না চুরি করে মাইসোর পালিয়ে যায় কৈলাস। এরপর সেখানকার একটা লজে কয়েকটা দিন থাকে কৈলাস। সেই সময়ই চুরি করা লকারটি স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কোলার চেষ্টা করে। এরপরই অভিযুক্ত নিজের শহরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসে। সেজন্য যশবন্তপুর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে চড়ে বসে কৈলাস। রোগীকে নিয়ে ছোটাছুটির মাঝে বাড়ির লোকজন যখন বুঝতে পারলো চুরি হয়েছে, তখন জেপি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পায় যশবন্তপুর রেল স্টেশন থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে উঠেছে কৈলাস দাস। এরপরেই পুলিশ ঠিক করে কলকাতায় এসেই চোরকে হাতেনাতে ধরবে। সেইমতো আকাশপথে কলকাতায় নেমে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে চোরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল। আরও পড়ুন-PUBG Addiction: PUBG খেলতে নিষেধ করায় বাবার গলায় এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত যুবকের

এদিকে হাওড়ায় ট্রেন পৌঁছাতেই তাড়াতড়ি বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল কৈলাসের। তবে প্ল্যাটফর্মে নেমেই সে বুঝতে পারে চতুর্দিকে পুলিশ তারই অপেক্ষায় ওঁত পেতে বসে আছে। পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি, হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। ২০১৯-এর নভেম্বরে এমনই একটা ঘটনা ঘটে বেঙ্গালুরুতে। সেবার পরিচারক ছিল রাজস্থানের আজমেঢ়ের বাসিন্দা। বছর ২১-এর যুবক এক ব্যবসায়ীর জোগাড়ে হিসেবে কাজ করত। সোনার গয়না চুরি করার পর ট্রেনে চড়ে বাড়ির দিকেই রওনা দিয়েছিল সে। বেঙ্গালুরু পুলিশ আজমেঢ় পৌঁছেই তাকে হাতেনাতে ধরে। এবারেও একই ঘটনা ঘটল। চুরির মাল নিয়ে কৈলাসের আর বাড়িতে পৌঁছানো হল না। ফের বেঙ্গালুরুতেই ফিরতে হল।

 

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now