এবার ফর্সা টুকটুকে কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে বাধা নেই, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড়(দেখুন ভিডিও)

ফর্সা টুকটুকে কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন। আর কোনও বাধা রইল না।” কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপকে কেন্দ্র করে হুল্লোড়ে মেতেছে বিজেপি। দেশজুড়ে চলচে বিভিন্ন উৎসব, আর সেই উৎসবের মঞ্চ থেকেই এই বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েল বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি।

বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি(Photo Credit: Twitter)

মুজফফরনগর, ৭ আগস্ট: “ফর্সা টুকটুকে কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন। আর কোনও বাধা রইল না।” কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপকে কেন্দ্র করে হুল্লোড়ে মেতেছে বিজেপি। দেশজুড়ে চলচে বিভিন্ন উৎসব, আর সেই উৎসবের মঞ্চ থেকেই এই বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েল বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি। তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নেটিজেনদের অভিযোগ, এমনিতেই ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই ফেসবুকে কাশ্মীরি মেয়েদের নিয়ে চটুল মন্তব্য করছে গেরুয়া সমর্থকরা। সেখানে একজন বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্যে তোলপাড় নেটদুনিয়া। আরও পড়ুন-৩৭০ ধারার বিলুপ্তি ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, কী বললেন কাশ্মীরী সংগীত শিল্পী?

সোমবার রাজ্যসভায় বিল পাশ হওয়ার পর মঙ্গলবার ৩৭০টি ভোট পেয়ে পাশ হয়ে গিয়েছে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিল। পাশ হয়ে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাবও। ওই ঘোষণার পর থেকেই কাশ্মীরের জমি কেনা এবং ওখানকার মেয়েদের বিয়ের বিষয়টি বারবার করে সামনে এসেছে। কিন্তু তা যে কেউ এমন ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি। বিজেপি বিধায়কের এ হেন মন্তব্যে অনেকেই পুরুষতান্ত্রিকতা দেখছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনার তিরে বিদ্ধ এই বিধায়ক। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বিক্রম সাইনিকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন। উত্তরপ্রদেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ৩৭০ ধারা বিলোপের খবরে কেন্দ্র সিলমোহর দিতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি সমর্থকরা উৎসবে মাতেন। এমনই একটি উৎসবে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিক্রম সাইনি সেখানেই তিনি বলেন, “কর্মীরা আজ ভীষণ খুশি। সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাস করছেন। আগে কোনও কাশ্মীরি মেয়ের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কারও বিয়ে হলে নাগরিকত্ব বদলাতে হতো। উপত্যকার মেয়েদের বাইরে বিয়ে হলে নাগরিকত্ব বাতিল হতো। ভারত আর কাশ্মীর আলাদা ছিল। এখন সবটা এক হয়ে গিয়েছে। হিন্দু, মুসলমান- সব ধর্ম, গোটা দেশ উৎসব করছে।” তিনি আরও বলেন, “এ বার আর বিয়েতে কোনও পাঁচিল রইল না। ওখানকার ফর্সা মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন উত্তরপ্রদেশের নাগরিকও। মোদিজি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। গোটা দেশের স্বপ্ন পূরণ করেছেন।”