Air India Ferrying Medical Equipment: করোনা রুখতে লকডাউন, চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার কার্গো বিমান
করোনা বিধ্বস্ত দেশে চলছে লকডাউন। সংক্রমণ এড়াতে সমস্ত পরিবহন বন্ধ। আন্তঃরাজ্য বিমান চলাচল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় জিনিস পৌঁছে দিতে এবার কাজ করবে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ও অন্যান্য বিমান সংস্থা। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিভিন্ন রাজ্যে এখন চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। এই সময় রাজ্যগুলিতে সেসব সরবরাহ করবে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। এয়ার ইন্ডিয়াই একাজে এগিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা গোটা বিষয়ি কো-অর্ডিনেট করছেন। গোটা দেশে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এয়ার ইন্ডিয়া ও এলায়েন্স এয়ারের বিমানেই যাতায়াত করছে।
নতুন দিল্লি, ৩০ মার্চ: করোনা বিধ্বস্ত দেশে চলছে লকডাউন। সংক্রমণ এড়াতে সমস্ত পরিবহন বন্ধ। আন্তঃরাজ্য বিমান চলাচল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় জিনিস পৌঁছে দিতে এবার কাজ করবে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ও অন্যান্য বিমান সংস্থা। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিভিন্ন রাজ্যে এখন চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। এই সময় রাজ্যগুলিতে সেসব সরবরাহ করবে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। এয়ার ইন্ডিয়াই একাজে এগিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা গোটা বিষয়ি কো-অর্ডিনেট করছেন। গোটা দেশে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এয়ার ইন্ডিয়া ও এলায়েন্স এয়ারের বিমানেই যাতায়াত করছে।
কলকাতা, গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় ও আগরতলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে দিল্লি থেকে বিমান আসছে কলকাতায়। সেখান থেকে এসব জায়গায় আসবে যাবতীয় চিকিৎসা সহায়তা। ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান দিল্লি থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছে চণ্ডীগড় ও লেহ-তে। এন দেশজুড়ে লকডাউনের কারমে কোনও আন্তঃরাজ্য বা আন্তার্জাতিক বিমান চলাচল করছে না। তবে কার্গো বিমান চলাচলের অনুমতি রয়েছে। সোমবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭১ ছুঁয়ে ফেলল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, মোট পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৯৪২। ৯৯ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দেশে মোট ৩০ জন এই মারণ ভাইরাসে (Coronavirus cases) প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৬৬ জন যাত্রী ৩০ মার্চ সকাল ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দরে স্ক্রিনড হয়েছেন। ১০০০ আক্রান্তের মধ্যে ১০৬ জন নতুন নভেল করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২। আজকের হিসেব ধরে মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ২১৫ জন। লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার কোনও ইচ্ছে সরকারের নেই। আরও পড়ুন-Coronavirus Outbreak In India: সোমবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল ১০৭১, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের কামড়ে বিধ্বস্ত বিশ্ব। ভারতের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে গত ২৪ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ২১ দিনের লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ এপ্রিল। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটা গুজব রটেছে মারণ ভাইরাস রুখতে ২১ দিনের লকডাউন যথেষ্ট নয়। তাই সময়সীমা ফের বাড়বে। এই কথা মানতে নারাজ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি (Cabinet Secretary)। তিনি বলেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যা রটছে সবই ভিত্তিহীন। লকডাউনের সময়সীমা আর বাড়বে না। ২১ দিনের লকডাউনের অর্থ হল মারাত্মক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া। একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বাড়ালেই এই রোগকে দূরে রাখা যাবে।