৩৭০-এর গেরোয় কাশ্মীরে গণতন্ত্র উধাও প্রশাসনের ভয়ে কাঁটা হয়ে আছে বাসিন্দারা, সফর শেষে মুখ খুললেন গুলাম নবি আজাদ
কাশ্মীরের মানুষ ভাল নেই, সুপ্রিম রায়ে উপত্যকা ঘুরে দেখার পর দৃশ্যতই হতাশ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে নেওয়ার এক মাস পরে কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি পান প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সেই শর্ত সাপেক্ষে পাওয়া অনুমতিতেই দুদিনের জন্য শ্রীনগর, জম্মু, অনন্তনাগ-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি।
শ্রীনগর, ২৫ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরের মানুষ ভাল নেই, সুপ্রিম রায়ে উপত্যকা ঘুরে দেখার পর দৃশ্যতই হতাশ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে নেওয়ার এক মাস পরে কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি পান প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সেই শর্ত সাপেক্ষে পাওয়া অনুমতিতেই দুদিনের জন্য শ্রীনগর, জম্মু, অনন্তনাগ-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। তারপর জম্মুতে ফিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নর উত্তরে জানান, কাশ্মীরের মানুষের অবস্থা সংকট জনক। প্রশাসনিক আতঙ্কে দিনযাপন করছেন কাশ্মীরিরা। এদৃশ্য হতাশাজনক বৈকি।
গত ৫ আগস্ট কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে বিশেষ অধিকার খর্ব করেছে। এই ঘটনায় শাসকদলের ১০০ থেকে ২০০জন সমর্থকই খুশি হয়েছেন। বাকিরা ভয়ের অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছেন। বলেই ফেললেন, কাশ্মীর তাঁর মাতৃভূমি, শৈশব থেকেই এখানে আছেন, কিন্তু কাশ্মীরিদের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি এতটা ভীত হতে আগে কখনও দেখা যায়নি। ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর গোটা উপত্যকায় কোনও গণতন্ত্র নেই। মুখ খুলে একথাই বললেন গুলাম নবি আজাদ। আরও পড়ুন-‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অশিক্ষিত’ মহত্মা গান্ধী সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না’, নরেন্দ্র মোদিকে ‘জাতির পিতা’ প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে কটাক্ষ আসাদউদ্দিন ওয়েসির
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে গুলাম নবি আজাদকে কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। অনুমতি দেওয়ার সময়ই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁকে বলেছিলেন, সেখানে গিয়ে কোনওরকম জনসভা করা যাবে না। কোনওরকম বক্তৃতা দেওয়ারও অনুমতি নেই। শুধুমাত্র শ্রীনগর, জম্মু, বারামুলা ও অনন্তনাগ জেলায় যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ। নিজের শর্তেই বক্তব্য রাখা বা জমায়েত করার সুযোগ পাননি কংগ্রেস নেতা। উপত্যাকা থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর বার বার সেখানকার মানুষ কেমন আছে তা জানতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে পারেননি, প্রথমবার শ্রীনগর এয়ারপোর্ট থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরেরবার জম্মু বিমানবন্দরেও একই অবস্থার মুখে পড়েন তিনি। বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিকেও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে কাশ্মীরে আসার আহ্বান জানিয়ে ফেলেছিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। রাহুল কটাক্ষ গায়ে না মেখে সেই আমন্ত্রণ লুফে নিলে রাজ্যপাল বেশ বিপাকে পড়ে যান। জানান, সেনা অনুমতি দিলেই রাহুল কাশ্মীরে পা রাখতে পারবেন।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)