COVID-19 Scare: করোনা আক্রান্ত দেশে ঘুরে আসার তথ্য গোপন করলে অপরাধ হবে, বললেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন সেই আতঙ্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে আট জনের শরীরে সিওভিআইডি-১৯ এর হদিশ মিলেছে। গত রবিবার থেকে যাঁদের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে, সেই সংখ্যাটি ১৪। এরপরই কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Kerala Health Minister) কেকে শৈলজা বলেছেন, যাঁরা করোনা সংক্রামিত দেশে গিয়েছিলেন। তাঁর অবশ্যই নিজেদের ভ্রমণের নাড়িনক্ষত্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানাবেন। তিনি আরও বলেন, “জনস্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী যাঁরা এই মারণ রোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করছেন, তাঁর অবশ্যই অপরাধী হিসেবে গন্য হবেন। সংক্রামিত এলাকা, দেশ থেকে ঘুরে এসে নিজেদের ভ্রমণের বিশদ বিবরণ প্রশাসনের কাছে লুকিয়ে গেলে তাও অপরাধ ধরে নিতে হবে।”

করোনাভাইরাস(Photo Credits: IANS)

কেরালা, ১১ মার্চ: দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন সেই আতঙ্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে আট জনের শরীরে সিওভিআইডি-১৯ এর হদিশ মিলেছে। গত রবিবার থেকে যাঁদের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে, সেই সংখ্যাটি ১৪। এরপরই কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Kerala Health Minister) কেকে শৈলজা বলেছেন, যাঁরা করোনা সংক্রামিত দেশে গিয়েছিলেন। তাঁর অবশ্যই নিজেদের ভ্রমণের নাড়িনক্ষত্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানাবেন। তিনি আরও বলেন, “জনস্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী যাঁরা এই মারণ রোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করছেন, তাঁর অবশ্যই অপরাধী হিসেবে গন্য হবেন। সংক্রামিত এলাকা, দেশ থেকে ঘুরে এসে নিজেদের ভ্রমণের বিশদ বিবরণ প্রশাসনের কাছে লুকিয়ে গেলে তাও অপরাধ ধরে নিতে হবে।”

বিদেশ ফেরত সকলের স্বাস্ত্য পরীক্ষার জন্য কেরালার বিমানবন্দরেই যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু যাঁরা কয়েকদিন আগে ইতালি থেকে ফিরলেন, সেই তিনজন বিমানবন্দরে তা খোলসা করেননি বলে দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা। এদিকে পরে তিনজনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, শরীরে মিলেছে সিওভিআইডি-১৯। দেশ জুড়ে এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত বন্দরে যাত্রিবাহী বিদেশি জাহাজের আনাগোনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

উল্লেখ্য, কেরালায় এ বার তিন বছরের শিশুর শরীরে ধরা পড়ল করোনাভাইরাস। মা-বাবার সঙ্গে গত ৭ মার্চ ইতালি থেকে দুবাই হয়ে দেশে ফিরেছিল শিশুটি। কোচি বিমানবন্দরে ডাক্তারি পরীক্ষায় তার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই মুহূর্তে এর্নাকুলাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তার। তাঁদের শরীরেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না জানতে শিশুটির মা-বাবাকেও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তাঁরা। ৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে। বাকি তিনজনের রক্তে সিওভিআইডি-১৯ পজিটিভ মিললেও চিকিৎসার পর তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশে এই সংক্রান্ত মৃত্যুর কোনও খবর এখন পর্যন্ত নেই।