Chandigarh: চণ্ডীগড়ে ৩৬ ঘণ্টার 'ব্ল্যাক আউট', শহরে নেই জলের জোগান, হাসপাতালও বিদ্যুৎহীন, জ্বলছে না ট্র্যাফিকের আলো
চণ্ডীগড়ে বিদ্যুৎ পর্ষদ কর্মীদের লাগাতার ধর্মঘটে চরম সমস্যায় সেখানকার বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ পর্ষদকে বেসরকারীকরণ করার উদ্যোগের প্রতিবাদে ৩৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে নেমেছেন কর্মীরা।
চণ্ডীগড়, ২৩ ফেব্রুয়ারি: বিদ্যুৎ সমস্যায় নাজেহাল চণ্ডীগড় (Chandigrah)। চণ্ডীগড়ে বিদ্যুৎ পর্ষদ কর্মীদের লাগাতার ধর্মঘটে চরম সমস্যায় সেখানকার বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ পর্ষদকে বেসরকারীকরণ করার উদ্যোগের প্রতিবাদে ৩৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে নেমেছেন কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ পরিষেবা অনেকাংশে ভেঙে পড়েছে। এর ফলে চণ্ডীগড়ের একাংশ এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগহীন জীবন কাটাচ্ছে। আর বিদ্যুৎ না থাকলে সব সাধারণ জীবনধারনের জিনিসের অভাব দেখা যায়, সেটাই হচ্ছে সেখানে। চণ্ডীগড়ের সেই অংশে ঘরে ঘরে অন্ধকার, জলের জোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও ব্যাহত হওয়ায় অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলি মহাসমস্যায়। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে অন্যত্র যাবে, তারও উপায় নেই। কারণ বিদ্যুতের অভাবে ট্র্যাফিক সিগন্যাল না জ্বলায় রাস্তায় ভয়াবহ জ্যাম। আরও পড়ুন: ইউপিতে কেমন চলছে ভোট
দেখুন টুইট
তবে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে সেখানকার নার্সিংহোম, হাসপাতালগুলি। জেনারেটের মাধ্যমে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টাও সেভাবে কাজে আসছে না এখন। দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ঘণ্টা চারেকের দূরত্বে থাকা চণ্ডীগড়ে অনলাইন পড়াশোনাও বন্ধ।
কিন্তু এত কিছুর পরেও ধর্মঘটীরা অনড়। তাদের সাফ বক্তব্য, যে অন্যায়ভাবে বেসরকারীকরণের পথে হেঁটে তাদের কাজকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলা হচ্ছে তার প্রতিবাদে ধর্মঘট ছাড়া কোনও পথ নেই। চণ্ডীগড় প্রশসান এখন এই মহাসমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে বিদ্যুত ধার নিতে উদ্যোগ শুরু করেছে।