Women's Forum for Screen Workers: ইন্ডাস্ট্রির কর্মক্ষেত্র যেন আরজি কর না হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি উইমেন্স ফোরামের
বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে যাতে নারী নিগ্রহের মত ঘটনা আটকানো যায় সেই মর্মে গড়ে তোলা হয় 'উইমেন্স ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়র্কার্স'। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার কমিটির তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Medical College and Hospital) কর্তব্যরত পড়ুয়া তরুণী চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা নতুন করে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কর্মক্ষেত্র যাকে দ্বিতীয় বাড়ি মনে করা হয় সেখানেই সুরক্ষিত নয় নারীরা। আরজি করের ঘটনার (RG Kar Incident) পরেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে দীর্ঘদিন ধরে চাপা থাকা নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে একে একে মুখ খুলতে শুরু করেন অভিনেত্রীরা। যৌন হেনস্থার অভিযোগে ইতিমধ্যেই অভিনেতা তথা পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে যাতে নারী নিগ্রহের মত ঘটনা আটকানো যায় সেই মর্মে গড়ে তোলা হয় 'উইমেন্স ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়র্কার্স'। গত ২৯ অগাস্ট গঠিত হয় এই ফোরাম। সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দামিনী বেণী বসু, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, ঊষসী রায়রা (Ushasi Ray) এই কমিটির সদস্য। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার কমিটির তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে আসা সমস্ত মহিলা শিল্পী, শিশু শিল্পীদের উপর হয়ে চলা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার চেয়ে এই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী পাঠায় কমিটি। চিঠিতে জানানো হয়, আরজি করের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে না ঘটে।
চিঠিতে উল্লেখ,
কর্মক্ষেত্রে অভিনেতা, অভিনেত্রী, ক্রু সদস্য, টেকনিশিয়ানরা বহু ক্ষেত্রেই হেনস্তার শিকার হন। এর প্রতিকারের জন্য নিয়ম-কানুন থাকলেও তার সঠিক প্রয়োগ বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় হয়নি। ফলে নিগ্রহের শিকার হয়েও মুখ বুঝে থাকতে হয় বহু ক্ষেত্রে। সত্ত্বর এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বাধীন ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের প্রয়োজন।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মহিলা শিল্পীদের প্রতি হওয়া নির্যাতনের (শারীরিক, যৌন, মানসিক, মৌখিক, ডিজিটাল বা অন্যান্য) তদন্ত করবে।
সেই সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে আসা শিশু শিল্পীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পকসো ২০১২ আইন কর্যকর করবে।