Soumitra Chatterjee Birthday Special: তাঁর কাছে কোনও 'মহানায়ক'-র তকমা নেই, আজ শুভ জন্মদিন অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জির
আজ তাঁর ৮৫-তম শুভ জন্মদিনে রইল অসংখ্য শুভেচ্ছা। মানুষটি গম্ভীর না হলেও গাম্ভীর্য রয়েছে তাঁর গলায়। নাটকের মঞ্চ, চলচ্চিত্র কিংবা কবিতায় তাঁর দৃপ্ত কণ্ঠ আজও অনুরাগীদের মন কাড়ে। উত্তম কুমারকে তিনি টেক্কা দিতে পেরেছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রচুর মতবিরোধ। আজ উত্তমকুমার বেঁচে থাকলে হয়তো শচীন-সৌরভের জুটির মতোই একটা লড়াই হত। কাকে ছেড়ে কাকে বাছার মত ব্যাপার। তবে মহানায়ক হতে না পারলেও অস্কার জয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের কাছে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। কিন্তু তিনি কার ফ্যান? একবার মীরের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, "যাকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মত ঝগড়া হয়, আমি সেই উত্তম কুমারের ফ্যান"। বছর পঁচাশিতেও তিনি যেন পঁচিশ।
Happy Birthday Soumitra Chatterjee: মানুষটি গম্ভীর না হলেও গাম্ভীর্য রয়েছে তাঁর গলায়। নাটকের মঞ্চ, চলচ্চিত্র কিংবা কবিতায় তাঁর দৃপ্ত কণ্ঠ আজও অনুরাগীদের মন কাড়ে। উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar) তিনি টেক্কা দিতে পেরেছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রচুর মতবিরোধ। আজ উত্তমকুমার বেঁচে থাকলে হয়তো শচীন-সৌরভের জুটির মতোই একটা লড়াই হত। কাকে ছেড়ে কাকে বাছার মত ব্যাপার। তবে মহানায়ক হতে না পারলেও অস্কার জয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) কাছে সৌমিত্র চ্যাটার্জি (Soumitra Chatterjee) ছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। কিন্তু তিনি কার ফ্যান? একবার মীরের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, "যাকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মত ঝগড়া হয়, আমি সেই উত্তম কুমারের ফ্যান"। বছর পঁচাশিতেও তিনি যেন পঁচিশ। আজ তাঁর ৮৫-তম শুভ জন্মদিনে (Happy Birthday) রইল অসংখ্য শুভেচ্ছা।
বাঙালি ফেলুদা বলতে তাঁকেই চেনে। তারপর শত চেষ্টা করেও তাঁর আসনকে টেক্কা দেওয়ার মত ফেলুদা এখনও পায়নি টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। বিশিষ্ট নাট্যকার শিশির ভাদুড়িও তাঁকে খুব স্নেহ করতেন। কলেজের বন্ধুরা মিলে সে যুগে খুলেছিলেন একটি নাটকের দল, আর তখনই পরিচয় বিশিষ্ট নাট্যকার শিশির ভাদুড়ির সঙ্গে। শুধু কবিতা, অভিনয়ই নয়। মাঝে মাঝে গেয়েও ওঠেন এই সুপুরুষ ব্যক্তিটি। আরও পড়ুন, প্রবল ঠান্ডায় উত্তপ্ত ইনস্টাগ্রাম, মালদ্বীপে হট বিকিনিতে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন সারা আলি খান
সালটা ১৯৫৬, সত্যজিৎ রায় তাঁর 'অপরাজিত' ছবির জন্য অপুর খোঁজ করছিলেন। অপুর বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করানোর একজনকে কোথা থেকে খুঁজে পাবেন এই নিয়ে বড়ই চিন্তায় ছিলেন তিনি।
মানিকবাবুর নজরে যখন সৌমিত্রবাবু এলেন তখন তাঁর সঙ্গে অপরাজিতর অপুর কোনও মিল ছিল না। এরপর ১৯৫৯ সালে মুক্তি পেল 'অপুর সংসার'। তারপর বাঙালির অপু ওরফে সৌমিত্র চ্যাটার্জিকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মানিকবাবুর শিক্ষা আর সৌমিত্রবাবুর কঠোর পরিশ্রমে টলিউড পেল একের পর এক মূল্যবান ছবি। অপরাজিত, চারুলতা, জয় বাবা ফেলুনাথ, সোনার কেল্লা, হীরক রাজার দেশে কী না করেছেন তিনি। তাঁর জন্য চরিত্রকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজেকে ভেঙে চরিত্রের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন বারবার। এমনকি এখনও।
এক পরিচালক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন চ্যাপলিন বলতেন কাজের মধ্যেই তিনি সবচেয়ে রিল্যাক্সড থাকেন। আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আপনি? “কাজেই আমার মুক্তি”— সহাস্যে জানিয়েছিলেন তিনি। পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, জাতীয় পুরস্কার এমনকি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। শুধু দুঃখের বিষয়, এত বড় অভিনেতা হয়েও তাঁর কোনও 'মহানায়ক'-র মত তকমা নেই। কিংবা 'আই অ্যাম দ্য ইন্ডাস্ট্রি' এধরণের কিছুও নেই। কিন্তু তিনি প্রতিটি বাঙালির মনের ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ্ করেন তা বলাই বাহুল্য।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)