Lok Sabha Elections 2019: মিমি না নুসরত! প্রচারের ময়দানে কে বেশি হিট
মিমি, নুসরত- দুজনেই চুটিয়ে প্রচার করছেন তাদের কেন্দ্রে। দুজনেই সিনেমা ছেড়ে এখন রাজনীতিতে মন দিয়েছেন।
চলতি লোকসভা নির্বাচনে দিদির সেরা চমক টলিউডের দুই সুন্দরী নায়িকা- মিমি ( Mimi Chakraborty) আর নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) কে নির্বাচনে নামিয়ে মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চেয়েছেন। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করা থেকে তারকা মহিলা প্রার্থীদের দাঁড় করানো। মিমি, নুসরতকে ভোটের ময়দানে নামিয়ে দিদি বাজিমাত করতে চেয়েছেন। মিমি চক্রবর্তীকে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান তৃণমূল সুপ্রিমো। যে যাদবপুরে কবীর সুমন (Kabir Suman), সুগত বসু (Sugata Basu)-দের মত বুদ্ধিজীবীদের দাঁড় করিয়ে অতীতে বাজিমাত করতে পেরেছেন মমতা। অন্যদিকে, টলিউডের বাঘা সুন্দরী হিসেবে পরিচিত নুসরত জাহানকে দিদি দাঁড় করিয়েছেন বসিরহাটে। যে বসিরহাটে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ক মাস আগে। যে বসিরহাট এখন আর তৃণমূলের 'সেফ সিট' নয়।
মিমি, নুসরত- দুজনেই চুটিয়ে প্রচার করছেন তাদের কেন্দ্রে। দুজনেই সিনেমা ছেড়ে এখন রাজনীতিতে মন দিয়েছেন। নায়িকা থেকে সাংসদ, টলিউড থেকে সংসদে পা রাখতে দুজনে কোনওরকম চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। মিমি আর নুসরত দুজনেই জনসভা থেকে কর্মীসভা করছেন। দলের শীর্ষ নেতা-জেলা নেতা, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, আলোচনা করছেন। কিন্তু অনেকের প্রশ্ন মিমি না নুসরত কে ভোটের প্রচারের ময়দানে বেশি হিট?মিমি আর নুসরতের প্রচার করছেন সাংবাদিকরা। আমরা সেইসব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে, মিমি-নুসরতের প্রচারের ভিডিও দেখে এই উত্তরটা খোঁজার চেষ্টা করলাম।
১) কাছের মানুষ হওয়ার চেষ্টায়-
এই বিষয়ে মিমি টেক্কা দিয়েছেন নুসরতকে। নিজের স্টারডামের দিকে খেয়াল না দিয়ে মিমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, দেদার সেলফি তুলেছেন যাদবপুরের ভোটারদের সঙ্গে। বসিরহাটে নুসরত শুরুতে ততটা পারেননি। তবে প্রচারের বেলা যত গড়িয়েছে নুসরত তত এই বিষয়ে সাবলীল হয়েছেন।
২) রাজনীতি বোঝায়
এই বিষয়েও মিমি টেক্কা দিয়েছেন নুসরতকে। জেলা সাংবাদিকদের কেউ কেউ বলছেন নুসরত রাজনীতিটা এখনও সেভাবে বুঝে উঠতে পারেননি। বসিরহাটের রাজনৈতিক মানচিত্রটাও সেভাবে নাকি মাথায় রাখতে পারছিলেন না নুসরত। মিমি সেদিক দিয়ে নাকি অনেক বেশি সাবলীল।
৩) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে মন জেতার বিষয়ে
এই বিষয়ে নুসরত অনেকটা এগিয়ে থাকবেন। নুসরত খুব তাড়াতাড়ি মিশে যাচ্ছেন দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে কোথায় দলের সমস্যা, দুর্বলতা আছে বোঝার চেষ্টা করছেন। মিমি এই জায়গাটাই নুসরতের থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন।
৪) জনসংযোগে
যাদবপুরে মিমি-র সভার থেকে বসিরহাটে নুসরতের সভায় জনতার ভিড়, উচ্ছ্বাস বেশি। তবে এর কারণ যাদবপুরের থেকে বসিরহাটে গ্রামীণ অঞ্চলের সংখ্যা অনেক বেশি। যে সব অঞ্চলে টলিউড তারকাদের নিয়ে আবেগ-উচ্ছ্বাস বেশি করে কাজে দেয়। তবে সামগ্রিক দিক থেকে দেখলে জনসংযোগে নুসরত টেক্কা দিচ্ছেন মিমি-কে।
৫) গ্ল্যামারে--
এই বিষয়ে নুসরতকেই এগিয়ে থাকবেন।
সব মিলিয়ে দেখলে নুসরত প্রচারের ময়দানের এগিয়ে। তবে ভোটের জেতার সম্ভাবনার দিক থেকে দেখলে মিমি-কে এগিয়ে রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এক সর্বভারতীয় সংস্থার সমীক্ষায় বলা হয়েছে- মিমি যাদবপুরে জিততে চলেছেন, সেখানে বসিরহাটে নুসরতের হারের সম্ভাবনা আছে।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র
তৃণমূল- নুসরত জাহান
বিজেপি- সায়ন্তন বসু
সিপিএম-পল্লব সেনগুপ্ত
কংগ্রেস-আব্দুর রহিম কাজি
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র
তৃণমূল-মিমি চক্রবর্তী
বিজেপি- অনুপম হাজরা
সিপিএম-বিকাশ ভট্টাচার্য