Pahlaj Nihalani To Sue The Eatery: মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন পহলাজ নিহালনি, কেন জানেন?

প্রায় একমাস ধরে যমে মানুষে টানাটানির পর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলেন পরিচালক পহলাজ নিহালনি৷ তবে পরিবার পরজনদের বাইরে কাউকেই নিজের অসুস্থতার খবর জানাননি তিনি৷

পহলাজ নিহালনি (Photo Credits: ANI)

প্রায় একমাস ধরে যমে মানুষে টানাটানির পর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলেন পরিচালক পহলাজ নিহালনি৷ তবে পরিবার পরজনদের বাইরে কাউকেই নিজের অসুস্থতার খবর জানাননি তিনি৷ কারণ এই করোনাকালে প্রত্যেকর কাছে খবর হওয়ার ইচ্ছে ছিল না তাঁর৷ ২৮ দিন ধরে মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সম্প্রতি বাড়িতে ফিরেছেন এই পরিচালক৷ বাড়িতে ফেরার পরেই অসুস্থতার জন্য একটি রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে উঠেপড়ে লেগেছেন নিহালনি৷

এই প্রসঙ্গে প্রথম সারির এক নিউজ পোর্টালকে পরিচালক বলেন, “আমার পরিবারের বাইরে কেউ এই অসুস্থতার খবর জানে না৷ কেবল শত্রুঘ্ন সিনহাজি ছাড়া৷ কারণ তিনিও আমার পরিবারের অংশ৷ ওই সাংবাদিক আমার সুস্থতা নিয়ে পরিবারের প্রত্যেককে ক্রমাগত বিরক্ত করে গেছেন৷ যতক্ষণ না প্রকৃত খবর তাঁর কাছে পৌঁছছে৷ সেকারণে আজ বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে৷ নাহলে আজ যখন বেঁচে থাকাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তখন মহামারীর বাজারের আপনি বাঁচলেন না মরলেন তানিয়ে ইন্ডাস্ট্রির কেই বা আর উদ্বিগ্ন হবে৷ মাস খানেক আগের একদিন আমার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না৷ সেদিন সন্ধ্যায় ইন্ডাস্ট্রির একটা গোটা ইউনিট আমার বাড়িতে৷ মহামারীর মধ্যে এই ইউনিটকে নিয়েই একটা ছবি করেছি৷ সাধারণত বাইরের খাবর খাই না৷ অতিথি অভ্যাগত এলে বাড়িতেই রান্নাবান্না হয়৷  কিন্তু সেদিন আমি একা৷ নিজের খাবার থাকলেও অতিথিদের জন্য কাছের এক রেস্তরাঁয় খাবার অর্ডার করলাম৷ চিকেন ছাড়া কোনও ননভেজ আমি খাই না৷ তবে সেই রাতে হোটের চিকেনর পদ আমার ভাল লাগেনি৷   বাকিরা আশ্বস্ত করায় খেলাম৷ তারপর শরীর খারাপ করতে লাগল৷ সবাই বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর একবার বমি হল৷ ভাবলাম অনেকদিন বাইরের খাবার না খাওয়াতেই এমনটা ঘটেছে৷ যখন ঘুমোনোর চেষ্টা করছি তখন ফের বমি হল সঙ্গে রক্ত৷ ছেলেকে খবর দিলাম৷ সৌভাগ্যবশত একই আবাসনে সে থাকে৷ খবর পেয়েই ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি আমাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন৷      ২৮ দিন নানবতী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গ পাঞ্জা লড়েছি৷ কোভিড পরিস্থিতিতে পরিজনদের সঙ্গে দেখা হয়নি৷ সমস্ত টেস্ট রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল৷ জীবন প্রথমবার হাসপাতাল ভর্তি হলাম৷ বেঁচে গেছি ঈশ্বরের দয়ায় আর পরিবার পাশে ছিল তাই৷ হাসপাতেল ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই সেদিন চিকিৎসা শুরু হয়েছিল৷ পরিবার ও চিকিৎসকরা পাশে না থাকলে আমিও আর বাঁচতাম না৷ একেবারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি৷ ওই খাবর জীবনের শেষ খাওয়া হয়ে থেকে যেত৷  সেদিন যাঁরা আমার সঙ্গে খেয়েছিলেন সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তবে সব থেকে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি আমার হয়েছিল৷ তাইতো সবাইকে বলব, এই করোনাকালে বাড়িতে রান্না করা খাবার খান৷”  আরও পড়ুন-Delhi Unlock Begins: আনলকের শুরুতেই দিল্লির রাজপথে ট্রাফিক জ্যাম, দেখুন ভিডিও

তাঁর এহেন পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী৷ অর্থাৎ যে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা বাসি খাবারে তিনি অসুস্থ হলেন তাদের তিনি এত সহজে ছেড়ে দেবেন না৷ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবেন৷

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now