মার্কিন মুলুকে বন্দুক বাজের হানা, ওয়াশিংটনের রাজপথেই মিলল একের পর এক দেহ
ঘটনার ঘনঘটায় বৃহস্পতিবারের রাত, বাদ গেল না আমেরিকাও। মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজের হানায় প্রাণ গেল ৬ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই, বৃহস্পতিবার গভীররাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে (Washington, D.C)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, শহররের রাজপথেই চলেছে গোলাগুলি। অস্ত্রের সামনে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া সাধারণ মানুষের মূলত কোনও উপায়ই ছিল না। ঘটনার পর অগুন্তি পথচারীকে রাস্তাতেই পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ওয়াশিংটন ডিসি, ২০ সেপ্টেম্বর: ঘটনার ঘনঘটায় বৃহস্পতিবারের রাত, বাদ গেল না আমেরিকাও। মার্কিন মুলুকে বন্দুক বাজের হানায় প্রাণ গেল ৬ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই, বৃহস্পতিবার গভীররাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে (Washington, D.C)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, শহররের রাজপথেই চলেছে গোলাগুলি। অস্ত্রের সামনে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া সাধারণ মানুষের মূলত কোনও উপায়ই ছিল না। ঘটনার পর অগুন্তি পথচারীকে রাস্তাতেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই গুরুতর আহত ছিলেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমও এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যম WJLA-TV-র টুইটার হ্যান্ডলে এমন ছবিও দেখা গিয়েছে, যেখানে আহত পথচারীদের নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে ছুটে চলেছে অ্যাম্বুল্যান্স।
নাশকতার আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিরাট পুলিশবাহিনী। চলছে উদ্ধার কাজ। স্থানীয় টিভি চ্যানেল FOX-5 কে পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুক বাজের হানায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আহতের সংখ্যা প্রচুর। আরও পড়ুন-কাশ্মীর থেকে কার্ফিউ না উঠলে ভারত পাকিস্তানের আলোচনা কোনওমতেই সম্ভব নয়: ইমরান খান
এখনও পর্যন্তও এই হামালার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। সিসিটিভি ফুটেজে কোনও বন্দুক বাজকে শনাক্ত করা যায়। তবে তদন্তের কাজে নেমে পড়েছে পুলিশ, গোটা এলাকায় চলছে তল্লাশি। বন্দুক বাজকে চিহ্নিত করতে সংযোগকারী রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হামলায় আহতরা একটু ধাতস্থ হলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। শেষপর্যন্ত রাজধানী শহরেই যে এভাবে বন্দুকবাজের হামলা হতে পারে তা ভাবতেই পারছেন না স্থানীয়রা। এখানেই থাকেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, কাছেই সেই হোয়াইটহাউস। সেই ওয়াশিংটন ডিসির নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কীভাবে বন্দুকবাজ এতবড় হামলা চালাল তানিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।