Japan-South Korea 'Youth Future Fund': যুদ্ধকালীন শ্রমে ক্ষতিগ্রস্ত কোরিয়ানদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন জাপানের

জাপানের নিপ্পন স্টিল এবং মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজকে কোরিয়ায় ১৯১০-৪৫ সালে জাপানের ঔপনিবেশিক দখলের সময় জোরপূর্বক কোরিয়ান শ্রমিক ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেয়।

South Korea's Protest on Japan's brutal repression of Koreans (Photo Credit: Yi Ho/ Twitter)

সিউল, ৫ মার্চ : জাপানের যুদ্ধকালীন শ্রমে ক্ষতিগ্রস্ত কোরিয়ানদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একটি 'ভবিষ্যতের যুব তহবিল' (Youth Future Fund) তৈরি করতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সম্ভাব্যভাবে সম্মত হয়েছে। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির খবর অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ার বড় ব্যবসায়ী লবি ফেডারেশন অব কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ এবং জাপান বিজনেস ফেডারেশন (Keidanren) যৌথভাবে এই তহবিল গঠন করবে। ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোরিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হওয়া শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতার বিস্তারিত বিবরণ ঘোষণা করবে। কিশিদার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকের জন্য চলতি মাসের শেষের দিকে ইয়ুন জাপান সফর করার কথাও ভাবছেন বলে জানা গেছে।

দুই দেশের চুক্তির অংশ হিসাবে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida) ১৯৯৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কিম দায়ে-জুং (Kim Dae-jung) এবং তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী কেইজো ওবুচি (Keizo Obuchi) কর্তৃক গৃহীত একটি যৌথ ঘোষণার উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য তার সরকারের অভিপ্রায়ও বর্ণনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঘোষণায় দুই নেতা অতীতকে অতিক্রম করে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ওবুচি কোরীয় জনগণের ওপর জাপানের ঔপনিবেশিক শাসনের 'ভীষণ ক্ষতি ও বেদনা'র জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন।

এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিকে বলেন, 'অতীতের নয়, ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান একটি তহবিল গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালে, দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট জাপানের নিপ্পন স্টিল এবং মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজকে কোরিয়ায় ১৯১০-৪৫ সালে জাপানের ঔপনিবেশিক দখলের সময় জোরপূর্বক কোরিয়ান শ্রমিক ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেয়। এই দুই কোম্পানি পরোক্ষভাবে নতুন তহবিলে কেইদানরেন মেম্বারশিপ ফি বা অনুদান হিসেবে অর্থ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়া এর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনুদান ব্যবহার করে একটি সরকারি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল তার সঙ্গে জাপানি সংস্থাগুলিকেও অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছিল। যদিও জাপান আদালতের রায়ের অধীনে কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছিল বলে জানা যায়, কারণ ১৯৬৫ সালের একটি চুক্তির অধীনে ক্ষতিপূরণের সমস্ত বিষয় নিষ্পত্তি করা হয়েছিল যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now