India-China Standoff in Ladakh: ইন্দো-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত, চিনের বিদেশমন্ত্রীকে বললেন ডক্টর এস জয়শংকর

লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে চিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মস্কোতে আয়োজিত চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে এনিয়েই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শংকর (EAM S Jaishankar)। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলেছে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক এবং ভারতের তরফে জোরের সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে যে সমস্ত নীতি ও চুক্তি মেনে চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাশাপাশি বলা হয়েছে, “আমাদের এখনই যেদিকে জোর দিতে হবে, তা হল ভবিষ্যতে আর যেন কোনও অযাচিত সংঘর্ষ-পরিস্থিতি তৈরি না হয় সীমান্তে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Photo Credits: ANI)

মস্কো, ১১ সেপ্টেম্বর: লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে চিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মস্কোতে আয়োজিত চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে এনিয়েই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শংকর (EAM S Jaishankar)। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলেছে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক এবং ভারতের তরফে জোরের সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে যে সমস্ত নীতি ও চুক্তি মেনে চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাশাপাশি বলা হয়েছে, “আমাদের এখনই যেদিকে জোর দিতে হবে, তা হল ভবিষ্যতে আর যেন কোনও অযাচিত সংঘর্ষ-পরিস্থিতি তৈরি না হয় সীমান্তে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবেদনশীল এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। দু’দেশের জন্যই এটা তাৎক্ষণিক ও জরুরি সমাধান।”

এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রীকে ভারতের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, “সীমান্তে বারবারই উস্কানিমূলক আচরণ করছে চিনের সামনের সারির সৈন্যরা। একাধিক বার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অমান্য করে সংঘর্ষ পরিস্থিতি তৈরি করছে তারা। অথচ চুক্তি অনুযায়ী এত বড় চিনা বাহিনীর অস্ত্র নিয়ে মোতায়েন থাকার কথাই নয় সীমান্তে। চিন কখনওই এই কাজের কোনও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।” বৈঠকের পরে জানা যায়, পূর্ব লাদাখে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা আশান্তির সমাধানে ও শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে দুই দেশই কিছু চুক্তি ও নীতি মেনে নিয়েছে। সীমান্তে শান্তিরক্ষার জন্য যা করণীয় তা এই মুহূর্তে দু’দেশকেই করতে হবে। তাই শান্তি-আলোচনা নিয়মিত চলবে, দু’পক্ষই নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দূরত্ব রাখবে। আরও পড়ুন-Dilip Ghosh: ‘করোনা চলে গেছে, বিজেপির মিটিং মিছিল আটকাতে দিদি লকডাউন করছেন’, কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতেই দক্ষিণ প্যাংগং লেকের উঁচু পাহাড়ি এলাকা দখল করার চেষ্টা করেছিল চিনের লালফৌজ। পরে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় তারা। তাদের টার্গেট ছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা চুমার এলাকা। চিনের সে উদ্দেশ্য প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। উত্তাপের আঁচ যেভাবে বাড়ছে তাতে দু’পক্ষই পরস্পরের মুখোমুখি নিজেদের যুদ্ধট্যাঙ্ক সাজিয়ে বসেছে। একে অপরের দিকে নিশানা স্থির করে আছে ট্যাঙ্কবাহিনী। এদিকে চিন থেকে আসা লগ্নি, পণ্য পরিষেবার উপরে প্রাচীর তোলার ভাবনা শুরু করে দিয়েছে ভারত, যা বেজিংয়ের কাছে বেশ চাপের। ভারতের বিপুল বাজার তাদের কাছে লোভনীয়। ভারতে চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্লোগান তুলেছেন আত্মনির্ভর ভারতের, তাতেও চিনা পণ্য আমদানি কমানোর দিকে নিশানা স্পষ্ট। এর পরেও অবশ্য ভারতের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা ফেরানো জরুরি। জয়শংকর স্পষ্ট করেছেন যে এর প্রথম ধাপ হিসেবে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে লালফৌজকে সরে যেতে হবে। সীমান্তে সেনার সংখ্যাও চিনকে কমাতে হবে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now