Sri Lanka: আইনিভাবে বোরখা পরা নিষিদ্ধ হতে চলেছে শ্রীলঙ্কায়
বোরখা পরা নিষিদ্ধ করবে শ্রীলঙ্কা। এই বিষয়ে শুক্রবার জননিরাপত্তা মন্ত্রী শরথ বীরাশেখারা মন্ত্রিসভায় একটি কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। তবে বোরখা নিষিদ্ধের প্রস্তাব সোমবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে না। ২০১৯ এর ইস্টার সানডে হামলার পর পিসিওআই বোরখা নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছিল। ১২ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে শরথ বীরাশেখারা তাঁর সিদ্ধান্ততে সিলমোহর দেন।
কলম্বো, ১৩ মার্চ: বোরখা (Burqa) পরা নিষিদ্ধ হতে চলেছে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। এই বিষয়ে শুক্রবার জননিরাপত্তা মন্ত্রী শরথ বীরাশেখারা (Sarath Weerasekara) মন্ত্রিসভায় একটি কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। তবে বোরখা নিষিদ্ধের প্রস্তাব সোমবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে না। ২০১৯ এর ইস্টার সানডে হামলার পর পিসিওআই বোরখা নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছিল। ১২ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে শরথ বীরাশেখারা তাঁর সিদ্ধান্ততে সিলমোহর দেন।
এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আরও বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে জাতীয় সুরক্ষার ভিত্তিতে মুসলিম মহিলাদের পুরো মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করা হবে। বীরাশেখারা বোরখাকে ধর্মীয় উগ্রবাদের চিহ্ন হিসাবে অভিহিত করেন। আরও পড়ুন, প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রবীণ ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী বাগীশানন্দজি মহারাজ
২০১৯ ইস্টার সানডের হামলার পরে শ্রীলঙ্কা সরকার অস্থায়ীভাবে বোরখা পরা নিষিদ্ধ করেছিল। ২০১২ সালের বোমা হামলায় প্রায় আড়াইশ জন প্রাণ হারায়। দেশে এক হাজার ইসলামী স্কুল বন্ধ করারও পরিকল্পনা করছে। তাঁর মতে, ইসলামী বিদ্যালয়গুলি দেশের জাতীয় নীতিমালাকে ঘৃণা করছে। তিনি আরও বলেন যে কাউকেই স্কুল খোলার এবং যা খুশি তা শেখানোর অনুমতি দেওয়া যায় না। ২০১২ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসাকে দেশ থেকে উগ্রপন্থা চূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে শ্রীলঙ্কার মুসলিম জনগণের ভাবধারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লক্ষণীয় বিষয়, গত বছর, শ্রীলঙ্কা সরকার ধর্ম নির্বিশেষে COVID-19 মৃতদের দেহ পোড়ানোর আদেশও পাস করেছিল। এই আদেশটি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে একটি বড়সড় ধাক্কা খায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থার সমালোচনা করার পরে এই বছরের শুরুর দিকে দেহ পোড়ানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।