Bengali New Year in Bangladesh: 'এসো হে বৈশাখ' গানে নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্কুল-কলেজে পদযাত্রার আয়োজন
এ বছর বাংলা নববর্ষের প্রতিনিধিত্ব করতে ভেড়া, হাতি, নীলগাই, টেপা পুতুল, বাঘ ও ময়ূরের ছয়টি বড় কাঠামো শোভাযাত্রায় উপস্থাপন করা হবে
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE) দেশের সব স্কুল-কলেজকে আগামীকাল শুক্রবার 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' বের করতে বলেছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের চিহ্ন হিসেবে তুলে ধরতে এই ব্যবস্থা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে মিছিলের আয়োজন করেন, তা বাংলাদেশি জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ এবং ঐক্যের প্রসারের পথ হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো এটিকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসানের পক্ষ থেকে মিছিল বন্ধের আইনি নোটিশ জারির করে, এই বলে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি "কৃত্রিম ঘটনা যা বাঙালি সংস্কৃতিতে প্রবেশ করানো হয়েছে" এবং এটি ঐতিহ্যবাহী পয়লা বৈশাখ উৎসবের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান নয়। এরপর বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশনাটি আসে। Nepal: বেস ক্যাম্প থেকে প্রয়োজনীয় রসদ পাঠাতে গিয়ে নিঁখোজ ৩ শেরপা
এ ছাড়া বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'এসো হে বৈশাখ' গান গাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে IANS কে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, "পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অংশ হিসেবে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্যই সকালে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করতে হবে।" বৃহস্পতিবার শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল কবির জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা মঙ্গলবার সব স্কুল-কলেজে উদযাপনের বিষয়ে আদেশ পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, "এই উৎসব শুধু আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য নয়, বরং আমাদের আরও বেশি মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগায়। আমাদের মতো অনেক দেশই নববর্ষ উদযাপন করে। আমরা আশা করি, নতুন বছর সবার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, 'এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা সকল যুদ্ধবিগ্রহের অবসান ঘটিয়ে মানুষের কল্যাণ কামনা করবে।' এ বছর বাংলা নববর্ষের প্রতিনিধিত্ব করতে ভেড়া, হাতি, নীলগাই, টেপা পুতুল, বাঘ ও ময়ূরের ছয়টি বড় কাঠামো শোভাযাত্রায় উপস্থাপন করা হবে। নীলগাই এবারের নতুন সংযোজন। শিক্ষার্থীদের এই মোটিফ তৈরির লক্ষ্য হল এই ধরনের বিরল বন্য প্রাণীর সাথে মানুষের মিথস্ক্রিয়ার অন্তরঙ্গতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণতা উন্নত করা। বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রার শ্লোগান "বরিষ ধারা মাঝে শান্তির বাড়ি"। বিশ্বশান্তির আকাঙ্খা প্রকাশ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। চারুকলার শিক্ষক শফিকুর রহমান বলেন, এবছরের প্রতিপাদ্য হল 'বিশ্বজনীন ধারণা', যার মাধ্যমে প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।