পড়ানোর সময় যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য, অধ্যাপককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল ছাত্রের দল

পড়ানোর সময় ক্লাসের মধ্যেই যৌনত বিষয়ক কথাবার্তা বলার অভিযোগে অধ্যাপককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল ছাত্রছাত্রীরা। দুই ছাত্র অধ্যাপকের মাথায় কেরোসিন ঢাললেও আগুন জ্বালাতে পারেনি, তার আগেই সেখান থেকে কোনও ক্রমে পালিয়ে যান চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক মাসুদ।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

চট্টগ্রাম, ৪ জুলাই: পড়ানোর সময় ক্লাসের মধ্যেই যৌনত বিষয়ক (lewd lectures) কথাবার্তা বলার অভিযোগে অধ্যাপককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল ছাত্রছাত্রীরা। দুই ছাত্র অধ্যাপকের মাথায় কেরোসিন (kerosene) ঢাললেও আগুন জ্বালাতে পারেনি, তার আগেই সেখান থেকে কোনও ক্রমে পালিয়ে যান চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক মাসুদ। তিনি এখন ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে (Bangladesh) চট্টগ্রাম শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন। ইতিমধ্যেই এক পড়ুায়াকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযুক্ত ও ধৃত পড়ুয়াদের বরখাস্তের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন। আরও পড়ুন-Bangladesh: শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, ৯ BNP কর্মীকে মৃত্য়ুদণ্ড, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বাংলাদেশের আদালত

বুধবার ঘটনার পর থেকে কলেজে বিক্ষোভ শুরু করেছে ছাত্ররা। তাদের একটাই দাবি ওই শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। যতক্ষণ না তার বন্দোবস্ত নিশ্চিত হচ্ছে ততক্ষণ ক্লাস বয়কট চলতে থাকবে। মাসুদ মহম্মদ নামে কলেজের ইংরাজি অধ্যাপকের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, পড়ানোর মাঝেই নানা অশালীন, রুচিহীন মন্তব্য করেন অধ্যাপক। তাঁর বেশিরভাগ কথাতেই থাকে যৌনতার ইঙ্গিত। ফলে ক্লাসে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়তে হয় ছাত্রীদের। অধ্যাপককে অনেক বার বলার পরেও তিনি শোনেননি। বরং এমন ধরনের মন্তব্য আরও বেড়েছে বলেই অভিযোগ পড়ুয়াদের। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি।আন্দোলনকারী এক পড়ুয়ার দাবি, ক্লাসের মধ্যে অধ্যাপকের এমন আচরণ সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রীকে পর্যন্ত চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। সেখান থেকেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই পড়ুয়ারাই সম্মিলিত ভাবে অধ্যাপককে রোখার চেষ্টা করেছেন।

এই প্রসঙ্গে কলেজের রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা আগেও অভিযোগ করেছিল। তবে তারা এমন কাণ্ড ঘটাবে তা বোঝা সম্ভব হয়নি। আক্রান্ত অধ্যাপক জানান, ঠিক সময় পালিয়ে না গেলে ছাত্ররা তাঁকে পুড়িয়ে মারত। তবে ক্লাসে কোনওরকম অশালীন মন্তব্য তিনি করেননি, ষড়যন্ত্র করেই তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে। এদিকে চট্টোগ্রাম ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে কাজিয়া তুঙ্গে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now