Bangladesh: বাংলাদেশে ২৩ টি জেলায় দ্বিতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা
করোনা মহামারির মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিত্রাণ মন্ত্রী মহম্মদ এনামুর রহমান। প্রথম দফার বন্যার জল কিছুটা কমে এলেও আবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ এটা অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। প্রায় ২৩ টি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হবে এবং বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।
ঢাকা, ১৩ জুলাই: করোনা (COVID-19) মহামারির মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যার (Second Wave of Flood) আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিত্রাণ মন্ত্রী মহম্মদ এনামুর রহমান। প্রথম দফার বন্যার জল কিছুটা কমে এলেও আবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ এটা অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। প্রায় ২৩ টি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হবে এবং বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন,"১১ জুলাই থেকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এবার ২৩টি জেলা বন্যা কবলিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা মোট চার সপ্তাহ থাকতে পারে। দু'সপ্তাহ জল বাড়বে এবং নেমে যেতে আরও দু'সপ্তাহ লাগবে।” তাই বৃহস্পতিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ২৩ জেলায় অতিরিক্ত সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২৩ জেলায় চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ টাকা ৬৯ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৪৬ লাখ টাকা ও গো খাদ্যের জন্য ৪৬ লাখ টাকা এবং ৪৬ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগে গেরুয়া শিবিরে চাঞ্চল্য
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর জল এখনও বিপদসীমায় না থাকলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা বাড়তে শুরু করবে। মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর জল কমতে থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা আবার বাড়তে শুরু করবে। পদ্মা এবং গঙ্গা নদীর জল আগামী ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিক থাকার পর বাড়তে পারে। দেশের প্রধান চারটি নদীর জল এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত মাসে শুরু হওয়া বন্যায় ১৫ টি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলাগুলো হলো: কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর। কিন্তু এবার ওইসব জেলাসহ আও বেশি এলাকা প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদীর জল আরও বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হবে।