দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোলাঘাটা থানায় মামলা দায়ের পুলিশের
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদার এক সভায় দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করল পুলিশ। কোলাঘাট থানায় বিজেপি রাজ্য সভাপতির নামে এই মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, মেচেদার সভায় বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে দিলীপ বলেছিলেন, '' তৃণমূলের নেতা-পুলিশ কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না। ফেলে দেবেন, মারধর করবেন, এরপর যা হবে দায়িত্ব আমার।''
কোলাঘাট, ২৮ অগাস্ট: রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (West Bengal Police)। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা (Mecheda)-র এক সভায় দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করল পুলিশ। কোলাঘাট থানায় বিজেপি রাজ্য সভাপতির নামে এই মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, মেচেদার সভায় বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে দিলীপ বলেছিলেন, '' তৃণমূলের নেতা-পুলিশ কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না। ফেলে দেবেন, মারধর করবেন, এরপর যা হবে দায়িত্ব আমার।''
তৃণমূল নেতা-কর্মী-পুলিশদের পাল্টা না মারতে পারলে আপনি বিজেপি কর্মী নন, বলেও জানিয়েছিলেন দিলীপ। যেহেতু পুলিশের গায়ে হাতে তোলার প্রসঙ্গ রয়েছে, তাই দিলীপের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করল পুলিশ। আরও পড়ুন-ইয়েচুরিকে ভূ স্বর্গে যাওয়ার অনুমতি শীর্ষ আদালতের
মেচেদার জনসভায় দিলীপ আরও বলেছিলেন, ‘আমার নামে পুলিশ মিথ্যে খুনের মামলা দিচ্ছে। কিন্তু ওরা জানে না আমি শুরু করলে ওদের বংশ লোপ পেয়ে যাবে।’একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বার বার অভিযোগের মুখে পড়েও স্বভাব পরিবর্তনে নারাজ দিলীপ ঘোষ। তিনি মনে করেন, এইরাজ্যে বিজেপি যে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে তার অন্যতম কারণ এই ধরনের কথা। স্পষ্ট বললেন, ‘এ ভাবে কথা না বললে বিজেপি বাড়ত না। আমার কথায় কর্মীরা ভরসা পায়। কে কী বলল আমার কিছু যায় আসে না। আমার কর্মীদের ভরসা দেওয়াটা আমার কাজ।’
সেদিন মেচেদার সভা থেকে তৃণমূল (TMC) ও পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। দলীয় কর্মীদের সাফ জানিয়ে দেন, যদি তৃণমূল ও পুলিশকে মারেত না পারেন তাহলে আপনারা বিজেপির কর্মীই নন। এহেন বক্তব্যের জন্য বার বার পুলিশের খাতায় তাঁর নাম উঠেছে। তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একবার দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে জোড়াসাঁকো থানায় (Jorasanko Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন। যত অভিযোগই হোক না কেন তাঁর কাজ থেকে যে তাঁকে সরানো যাবে না। তা এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষের বক্তব্য শুনলেই বোঝা যায়।