Attack On JP Nadda's Convoy: দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব ও ডিজি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানিয়ে দিল রাজ্য

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) রাজ্য পুলিশের ডিজি (DGP) এবং মুখ্যসচিব (Chief Secretary) আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay) তলব করেছে। ১৪ ডিসেম্বর তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও আজ বিকেলে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হল তারা ডিজি ও মুখ্যসচিবকে দিল্লি পাঠাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

নবান্ন (Photo Credits: wikimedia)

কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) রাজ্য পুলিশের ডিজি (DGP) এবং মুখ্যসচিব (Chief Secretary) আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay) তলব করেছে। ১৪ ডিসেম্বর তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও আজ বিকেলে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হল তারা ডিজি ও মুখ্যসচিবকে দিল্লি পাঠাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

জেপি নাড্ডার কর্মসূচির জন্য রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছিল বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠিতে লিখেছেন, বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং পাইলট কার দেওয়া হয়েছিল। ছিলেন ৪ এএসপি, ৮ ডিএসপি এবং ১৪ জন ইন্সপেক্টর। ছিলেন ৭০ জন এসআই ও এএসআই, ৪০ জন র্যাসফ জওয়ান। ২৫৯ জন কনস্টেবল, ৩৫০ জনের সাহায্যকারী বাহিনী ছিল। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার বাইরেও এই ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠিতে মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনটি মামলা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি বিশেষত ভাঙচুরের জন্য। এই দুটি মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Home Ministry Summoned WB DGP And Chief Secretary: নাড্ডার কনভয়ে হামলা, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

জানা যাচ্ছে, রাজ্যপালের রিপোর্টের পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য সরকারের কাছেও এই ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল। সূত্র মতে, এই হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এদিকে কেন্দ্রের পাঠানো চিঠি অসাংবিধানিক বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "রাজ্য বিধানসভায় সরকার জবাবদিহি করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ব্যাখ্যা চাইতে পারে না। এটি সংবিধান লঙ্ঘন। এটি শক্তির অনুগ্রহযোগ্য অনুশীলন। মূল বিষয়টির পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্বেষ রয়েছে এবং চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার আধিকারিকদের হতাশার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। এটা শোচনীয়। সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারে না কেউ।"