South 24 Pargana: ধামাখালিতে হল প্রথম দফার বৈঠক, আম্ফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

আজ বাংলার আম্ফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। চার সদস্যের এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে রয়েছেন নরেন্দ্র কুমার, ঋষিকা সরন, আর কে দুবে এবং সমীরণ সাহা। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ধামাখালিতে প্রথমে বৈঠকে বসেন তাঁরা। এদিনের বৈঠকে সন্দেশখালির দুটি ব্লকের প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তারপর সন্দেশখালি এক ও সন্দেশখালি দুই নম্বর ব্লক ন্যাজারহাট ঘুরে দেখবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই কলকাতায় পৌঁছন তাঁরা।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: AFP)

কলকাতা, ৫ জুন: আজ বাংলার আম্ফান (Amphan) বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Delegation Team)। চার সদস্যের এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে রয়েছেন নরেন্দ্র কুমার, ঋষিকা সরন, আর কে দুবে এবং সমীরণ সাহা। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ধামাখালিতে (Dhamakhali) প্রথমে বৈঠকে বসেন তাঁরা। এদিনের বৈঠকে সন্দেশখালির দুটি ব্লকের প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তারপর সন্দেশখালি এক ও সন্দেশখালি দুই নম্বর ব্লক ন্যাজারহাট ঘুরে দেখবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই কলকাতায় পৌঁছন তাঁরা।

আশপাশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তারা। কীভাবে দুর্গতদের ক্ষতি পূরণ করা যায়, কোনও বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা যায় কিনা, বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আম্ফানে বাংলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৮। সুন্দরবনের চাষের জমিতে ঢুকে গেছে নোন জল। নোনা জল নষ্ট করেছে একের পর এক চাষের জমি। নষ্ট হয় পানের বরজ। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মাটি-খড়ের বাড়ি, পানীয় জল নেই, সারি সারি বিদ্যুতের খুঁটি এখনও পড়ে আছে , ভেঙে পড়েছে একাধিক স্কুল।  আরও পড়ুন, বৃহস্পতিবার সারা দিনে নতুন আক্রান্ত ৯,৮৫১ জন, ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭০

আম্ফানের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (Narendra Modi) আকাশপথে বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। রাজ্যের তরফ থেকে প্রাথমিক ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা সামা লড়িতে কেন্দ্র সরকারের বিপুল সহায়তা প্রয়োজন। সূত্রের খবর, রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দাবি করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।