টলি অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষকে ইনস্টাগ্রামে অশ্লীল কটূক্তি, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
টলিপাড়ার পরিচিত মুখ অরুণিমা ঘোষ। অভিনেত্রী অরুণিমাকে চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এবার সেই অভিনেত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক মুদি দোকানি। ধৃতকে এদিন আদালতে তোলাহলে বিচারক ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা, ১৫ জুলাই: টলিপাড়ার পরিচিত মুখ অরুণিমা ঘোষ। অভিনেত্রী অরুণিমাকে চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এবার সেই অভিনেত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক মুদি দোকানি। ধৃতকে এদিন আদালতে তোলাহলে বিচারক ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃত মুকেশের গ্রেপ্তারির পরেই শান্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ভয় পাচ্ছিলাম আমার আশপাশের কেউই বোধহয় নজর রাখছে। যাইহোক গ্রেপ্তারির ঘটনায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তিনি। পুলিশও নিশ্চিন্ত। আরও পড়ুন- Swastika Dutta: সাতসকালেই অ্যাপ ক্যাবচালকের হেনস্তার শিকার টলি অভিনেত্রী, ফেসবুকে শোরগোল
টেলিভিশন ও বড় পর্দার পরিচিত মুখ তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ অ্যাক্টিভ। আর তাই ফ্যান ফলোয়িংও বেশ ভালোই অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষের। আর সেই সোশ্যাল মিডিয়াতেই হুমকি, গালিগালাজ করা হচ্ছিল তাঁকে। বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার গড়ফা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। যুবকের নাম মুকেশ সাউ। গড়ফাতে তাঁর একটি মুদির দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ছ’মাস ধরে অরুণিমার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর মন্তব্য, গালিগালাজ করছিলেন ওই যুবক। ৩০ মে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। প্রথমে পুলিশ ভেবেছিলেন, হয়তো অভিনেত্রীর পরিচিত কেউ এ কাজ করছে। কিন্তু তারপর তাঁরা দেখেন একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে এই ধরণের মন্তব্য করা হচ্ছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়ুখ সাহা নামে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই কাজ করতেন ওই যুবক। অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হতো ফোন থেকে। প্রথমে আইপি অ্যাড্রেস ধরে মোবাইলটি চিহ্নিত করেন লালবাজারের সাইবার সেলের কর্মীরা। তারপরেই গড়ফা থেকে গ্রেফতার করা হয় মুকেশকে।
অরুণিমার বক্তব্য, “এই বছরের শুরুর দিক থেকেই এই উৎপাত শুরু। প্রথমের দিকে আমি অতটা গুরুত্ত্ব দিইনি। কিন্তু দিনদিন এটা বাড়তে থাকে। রোজ নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে অশ্লীল মন্তব্য করা শুরু হয়। শুধু আমাকে নয়, আমার বন্ধু-বান্ধবদেরও গালাগাল, হুমকি দেওয়া শুরু হয়।”