Mahua Moitra: 'আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব', আরও ৩০ বছর বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার হুঙ্কার মহুয়ার
অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ড সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র। ২০১৯ লোকসভায় কৃষ্ণনগর আসন থেকে জেতা মহুয়া বললেন, " আমার বয়স এখন ৪৯।
অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ড সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র। ২০১৯ লোকসভায় কৃষ্ণনগর আসন থেকে জেতা মহুয়া বললেন, " আমার বয়স এখন ৪৯। আর আমি বিজেপি-র বিরুদ্ধে আগামী ৩০ বছর সংসদ হোক বা বাইরে আপোষহীনভাবে লড়ে যাবো। রাস্তায় হোক, নর্দমা হোক, যেখানে জায়গা পাবো আমি লড়ব। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।" মহুয়ার দাবি এথিক্স কমিটির ক্ষমতা নিয়ে কোনও সাংসদকে বহিষ্কারের। সবটাই আসলে বিজেপির কারসাজি। বিরোধীদের বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ায় ওদের লক্ষ্য বলেও তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ। শুধু দু জন ব্যক্তি নাগরিকের কথা শুনেই রিপোর্ট তৈরি করা হল। কখনও যাচাই করা হল না সত্য়ি। আমায় ঝোলানোর জন্য শুধু দুটি সাক্ষ্যকেই ব্যবহার করা হল। দুটি সাক্ষ্যই একে অপরের থেকে পুরোপুরি বিপরীত কথা বলছে। তবু বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে এমন করা হল।"
দেখুন মহুয়ার বক্তব্য
লোকসভা ভোট আর কয়েক মাস বাদেই। তৃণমূল মহুয়ার পুরোপুরি পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মমতা তাঁকে কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব দিয়েছেন। জেলা সংগঠনে তাঁর বিরোধীর সংখ্যা বাড়লেও, খুব সম্ভবত কৃষ্ণনগর থেকে ফের তিনিই দাঁড়াবেন। ভোটের মুখে সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় সহানুভূতির হাওয়া মহুয়ার পক্ষে থাকায় দলের সুবিধা হবে বলে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য।
তাপস পালের পরিবর্তে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে মহুয়াকে দাঁড় করিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কল্যাণ চৌবে-কে প্রায় ৬৩ হাজার ভোটে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। দারুণ ইংরেজি বলতে পারে মহুয়া সংসদে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে চাপে রাখতেন। আদানি ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর পর সংসদে মহুয়াকেই সবচেয়ে বেশী সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল।