Junior Doctors Protest: দেবাশিস-অনিকেতের নামে FIR হোক, কুণালের হুঁশিয়ারির পালটা দিলেন কিঞ্জল

হুঁশিয়ারির সুরে কুণাল বললেন, একদল বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে আন্দোলনকে জইয়ে রাখতে চাইছে। এর ফলে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেতে পারে। চিকিৎসক দেবাশিস হালদার এবং অনিকেত মাহাতোর নামে এফআইআর দায়ের করা হোক।

Kinjal Nanda, Kunal Ghosh (Photo Credits: X)

শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে ফোনে কথা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। আজ সোমবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে মুখ্যসচিবের দেওয়া অনশন প্রত্যাহারের 'শর্ত' এই মুহূর্তে মানছেন না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। ইমেল মারফত জানানো হয়েছে, সোমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই অনশন তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই আবহে মমতার সঙ্গে চিকিৎসকদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, একদল বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে আন্দোলনকে জইয়ে রাখতে চাইছে। এর ফলে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেতে পারে। চিকিৎসক দেবাশিস হালদার এবং অনিকেত মাহাতোর নামে এফআইআর দায়ের করা হোক। কার্যত দুই চিকিৎসকের নাম করেই এই বার্তা দিয়েছেন কুণাল।

সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকেরা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি দিয়ে ইমেল করেন। আর তার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে একদলের বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্তের কথা প্রকাশ করেন কুণাল। লেখেন, 'যদি মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক পরিকল্পিতভাবে অন্যায্য জেদে ভেস্তে দিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার কোনো রোগীর কোনো ক্ষতি হলে নিকটবর্তী থানায় ডাঃ দেবাশিস হালদার ও ডাঃ অনিকেত মাহাতোর নামে যেন FIR হয়'। পাশাপাশি অনশনের ফলে জুনিয়র চিকিৎসকদের ক্ষতির আশঙ্কা করে কুণাল আরও বলেন, 'অনশনের কারণে যদি জুনিয়রদের কারুর কোনো ক্ষতি হয়, তাহলেও মূলত এরা দুজন এবং এদের প্ররোচনাদাতারা দায়ী থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিভাবকোচিত সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছেন। তাতে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনা হোক। বাম, অতি বাম, বিরোধীদের ফাঁদে পা দেবেন না'।

ভিডিয়ো বার্তাতেও সেই কথা জানালেন কুণাল ঘোষ... 

তবে তৃণমূল নেতার পোস্টের পালটা জবাব দিয়েছেন চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda)। তাঁর পালটা অভিযোগ, 'সিদ্ধান্ত শুধু অনিকেত বা দেবাশিস হালদার নেয় নি,সিদ্ধান্ত WBJDF নিয়েছে। প্রথম দিন থেকে তাঁরা আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। কিন্তু উৎসবের জন্যে তা সম্ভব হয়নি। কিঞ্জলের আরও অভিযোগ, অনশনে বসার আগে দুবার প্রশাসনকে তাঁরা দুবার ইমেল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মেলের কোন জবাব আসেনি।