Kolkata Shocker: স্বামীকে সুস্থ করার নামে চরণামৃত খাইয়ে মহিলাকে ধর্ষণ তান্ত্রিকের, পুলিশের জালে জালিয়াত
গত ৪৫ দিন ধরে পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন ওই মহিলা। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে এরপর তিনি জ্যোতিষ সুভাষ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জ্যোতিষ সুভাষের টালার অফিসে ওই মহিলা যান নিরাময় খুঁজতে। জ্যোতিষ সুভাষের কাছে নিরাময় খুঁজতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর পারিবারিক সমস্যার সমাধান করতে যোগ্য করবেন ওই তান্ত্রিক।
কলকাতা, ২ মার্চ: অসুস্থ স্বামীকে (Ailing Husband) সুস্থ করার নাম করে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে চিৎপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় এক তান্ত্রিককে। যা নিয়ে স্থানীয় এলাকায় জোর শোরগোল শুরু হয়েছে।
জানা যায়, গত ৪৫ দিন ধরে পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন ওই মহিলা। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে এরপর তিনি জ্যোতিষ সুভাষ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জ্যোতিষ সুভাষের টালার অফিসে ওই মহিলা যান নিরাময় খুঁজতে। জ্যোতিষ সুভাষের কাছে নিরাময় খুঁজতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর পারিবারিক সমস্যার সমাধান করতে যোগ্য করবেন ওই তান্ত্রিক। ফলে জ্যোতিষ সুভাষের কথা বিশ্বাসও করে ফেলেন সংশ্লিষ্ট মহিলা।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে ইউক্রেন, রাশিয়ার বোমাবর্ষণে খারকিভে মৃত ২১
এরপর যোগ্য এবং বিভিন্ন ধরনের পুজোর (Puja) নাম করে জ্যোতিষ সুভাষ ওই মহিলাকে বর্ধমান, বীরভূমসহ (Birbhum) রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে পুজো শুরু হওয়ার আগে ওই মহিলাকে চরণামৃত খেতে দেওয়া হয়। জ্যোতিষের দেওয়া বিশেষ চরণামৃত খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই মহিলা। জ্ঞান ফেরার পর বুঝতে পারেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে পুজোর নাম করে। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কাউকে কিছু জানাননি ওই মহিলা। এরপর জ্যোতিষ সুভাষের সঙ্গে তাঁর ডেরায় যাওয়ার আগে পুলিশকে সব ঘটনা জানান। ফলে ওই মহিলার সঙ্গে তৃতীয়বার কুকীর্তি করার আগেই পুলিশ তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করে ফেলে।