Indus Script: সিন্ধু শিলালিপির পাঠোদ্ধার, চমক এই বঙ্গতনয়ার

অনেকেই আগে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। সেই সিন্ধু শিলালিপি (Indus script) পড়তে পেরেছেন বাংলার এক আইটি প্রফেশনাল। অনেকেই মনে করেন, সিন্ধু শিলালিপি মিশরের হায়ারোগ্লিফিক্সের চেয়েও জটিল। তবে, বহতা আংশুমালী মুখার্জি (Bahata Angshumali Mukhopadhyay) সর্বদা সিন্ধু শিলালিপির প্রতি মুগ্ধ ছিলেন ও এগুলি পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়েছেন। সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধার নিয়ে তাঁর দীর্ঘ নিবন্ধ ‘নেচার’ (Nature Magazine) ব্র্যান্ডের পত্রিকা ‘প্যালগ্রেভ কমিউনিকেশন্স’-এ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন পড়েছে।

বহতা আংশুমালী মুখার্জি (Photo: Facebook)

কলকাতা, ৩১ ডিসেম্বর: অনেকেই আগে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। সেই সিন্ধু শিলালিপি (Indus script) পড়তে পেরেছেন বাংলার এক আইটি প্রফেশনাল। অনেকেই মনে করেন, সিন্ধু শিলালিপি মিশরের হায়ারোগ্লিফিক্সের চেয়েও জটিল। তবে, বহতা আংশুমালী মুখার্জি (Bahata Angshumali Mukhopadhyay) সর্বদা সিন্ধু শিলালিপির প্রতি মুগ্ধ ছিলেন ও এগুলি পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়েছেন। সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধার নিয়ে তাঁর দীর্ঘ নিবন্ধ ‘নেচার’ (Nature Magazine) ব্র্যান্ডের পত্রিকা ‘প্যালগ্রেভ কমিউনিকেশন্স’-এ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন পড়েছে।

আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, বহতা অংশুমালি মুখোপাধ্যায় পেশায় ওয়েব ডেভেলপার। সিন্ধু-গবেষণার কাজে তাঁকে উৎসাহ ও সহায়তা জুগিয়েছেন প্রসিদ্ধ গণিতবিদ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রণজয় অধিকারী (Ranajay Adhikari), প্রয়াত গবেষক ইরাভথম মহাদেবন এবং বহতার বাবা অধ্যাপক অমর্ত্য মুখার্জি। বহতার স্বামী পেশায় একজন বিজ্ঞানী। তিনি তাঁর স্বামীর মাধ্যমে বিখ্যাত গণিতবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী রণজয় অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বহতা জানা‌ন, তাঁর প্রথম কাজটি ছিল পাঠোদ্ধারের পদ্ধতি নির্ধারণ। তাঁর কথায়, ‘‘সিন্ধুলিপির বহু রকমের পাঠপ্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশই একে অন্যের নিয়ম মানে না। অন্যকে খণ্ডনও করে না। আমি এর মধ্যে দাঁড়িয়ে গাণিতিক প্রমাণের মতোই অকাট্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা করেছি চিহ্নগুলির বর্গবিভাজনের মাধ্যমে।’’ বাহাতার মতে, সিন্ধু শিলালিপি বোঝার জন্য বিভিন্ন ধরণের অধ্যয়ন প্রক্রিয়া রয়েছে তবে তাদের বেশিরভাগ বিজ্ঞান অনুসারে মিথ্যা নয়। বেশিরভাগ প্রক্রিয়া একে অপরের নিয়মকে মেনে চলে না। আমি এর মধ্যে দাঁড়িয়ে গাণিতিক প্রমাণের মতোই অকাট্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা করেছি চিহ্নগুলির বর্গবিভাজনের মাধ্যমে।" আরও পড়ুন: Digital Payments Mandatory For Business: বার্ষিক টার্নওভার ৫০ কোটি বা বেশি হলেই ডিজিটাল পেমেন্ট বাধ্যতামূলক, না মানলে জরিমানা

তিনি বিশ্বাস করেন যে তাঁর কাজ সিন্ধু শিলালিপি ডিকোডিং করার পুরো প্রক্রিয়া সামনের দিনগুলিতে আরও সহজ করে তুলবে। কী ভাবে বর্গবিভাজন করা হল? আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, সিন্ধুলিপির বার্তাগুলির অধিকাংশই শব্দচিত্র বা লোগোসেন্ট্রিক পদ্ধতিতে লেখা। বহতা জানাচ্ছেন, ‘‘আমার কাজের প্রাথমিক পদ্ধতি ছিল এই শব্দচিত্রগুলির ধ্বনিরূপ আগেভাগে বের করতে না চেয়ে, তারা কী ভাবে একে অন্যের সঙ্গে বসছে, কোন নিয়ম বা সূত্র মানছে, তাদের আকার আকৃতি কেমন, কী ধরনের বস্তুসামগ্রীতে তা খোদাই হয়েছিল, সেই বস্তুসামগ্রীগুলি কোন জায়গায় এবং কোন প্রাচীন বস্তুর কাছে পাওয়া গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা।’’

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now