Locket Chatterjee: ভবানীপুরে বিজেপি-র প্রচার করলেন না লকেট চ্যাটার্জি, কুণাল ঘোষের টুইটে ফুলবদলের নয়া জল্পনা
বিজেপি ছেড়ে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়-র তৃণমূলের যোগদানের পর থেকেই জোর জল্পনা, পদ্মশিবির থেকে দিদির দলে নাম লেখাতে পারেন আরও এক হাইপ্রোফাইল সাংসদ। ক'টা দিন রাজনৈতিক মহল ব্যস্ত ছিল সেই নাম খুঁজতে। সোমবার দুপুরে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এক টুইটের পর সেই জল্পনা জোরদার হয়েছে।
কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর: বিজেপি (BJP) ছেড়ে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)-র তৃণমূলের (TMC) যোগদানের পর থেকেই জোর জল্পনা, পদ্মশিবির থেকে দিদির দলে নাম লেখাতে পারেন আরও এক হাইপ্রোফাইল সাংসদ। ক'টা দিন রাজনৈতিক মহল ব্যস্ত ছিল সেই নাম খুঁজতে। সোমবার দুপুরে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এক টুইটের পর সেই জল্পনা জোরদার হয়েছে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভবানীপুর উপনির্বাচনে আজ, সোমবারই প্রচারের শেষ দিন ছিল। কিন্তু বিজেপির তারকা প্রচারক সাংসদ-অভিনেত্রী লকেট চ্যাটার্জি (Locket Chatterjee)-কে প্রচারে দেখা গেল না (শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত)।
এই নিয়ে কুণাল ঘোষ তাঁর টুইটে লেখেন, "ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রচার না করার জন্য 'তারকা প্রচারক' লকেট চ্যাটার্জিকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা। বিজেপির পক্ষ থেকে ওনাকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও আপনি আসেননি। আপনি যেখানেই থাকুন, বন্ধু হিসেবে সাফল্য কামনা করব। পৃথিবীটা খুব ছোট। আশা করি সেই দিনগুলো ফিরে আসবে, যখন আপনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন।"কুণালের এই টুইট লকেটকে কটাক্ষ নাকি আমন্ত্রণ তা বোঝা যাচ্ছে না। তাতেই বাড়ছে জল্পনা। আরও পড়ুন: দেখুন কীভাবে বেঙ্গালুরুতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দু তলা বাড়ি, ভিডিও
প্রসঙ্গত, টলিউড অভিনেত্রী লকেট চ্যাটার্জিকে আগে দিদির বিভিন্ন জনসভায় দেখা যেত। পরে তিনি বিজেপি-তে যোগ করেন। ২০১৬ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হারলেও, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লকেট বিজেপির টিকিটে জেতেন হুগলি কেন্দ্র থেকে। যে কেন্দ্রের মধ্যে আছে সিঙ্গুর। তবে ২০২১ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে চুঁচড়া থেকে হারেন লকেট। জোর জল্পনা ছিল, মোদী টু মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ও রদবদলে লকেটকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, জন বার্লা-রা মন্ত্রী হলেও লকেট ঠাঁই পাননি।
দেখুন টুইট
ভবানীপুরে কেন লকেট দলের হয়ে প্রচার করলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে এটাও ঠিক প্রচার না করলেই তার মানে নয় যে তিনি দল বদল করবেন। তবে বিধানসভা ভোটের পর থেকে এমন অবস্থা হয়েছে, যেখানে বিজেপির নেতা-কর্মী-বিধায়ক-সাংসদরা প্রায় প্রতিদিন তৃণমূলে যোগি দিচ্ছেন। মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয় থেকে তিন বিধায়ক। সবাই মোদী শিবির ছেড়ে দিদি শিবিরে এসেছেন। এবার কি লকেটের পালা? জল্পনা চলছে। লকেট মুখ খুললেই অবশ্য সব কিছু বোঝা যাবে।