Durga Puja 2021: ঠাকুর দেখা পুরো মাত্রায় শুরু করেছে বাঙালি, আজ রবিরার পঞ্চমীতে আবেগের বাঁধ ভাঙবে কি!

আজ মহাপঞ্চমী। মহলায়ার পর থেকেই অবশ্য ঠাকুর দেখা পুরো মাত্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির। তবে গতকাল, শনিবার চতুর্থীতে ভিড়টা চোখ পড়ার মত হল। সন্ধ্যা থেকেই উত্তর থেকে দক্ষিণ, শ্রীভূমি থেকে বেহালা ক্লাব-লোকেলোকারণ্য। তবে আগের মত ভিড় মানেই তো ফুল মার্কস নয়, এই করোনা কালে তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ভিড় মানেই ভাইরাসের এন্ট্রির পথ সুগম করা। তাই এবার পুজোর আয়োজকরা অনেকটাই সজাগ

Durga Puja 2021। (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ১০ অক্টোবর: আজ মহাপঞ্চমী (Maha Panchami)। মহালায়ার পর থেকেই অবশ্য ঠাকুর দেখা পুরো মাত্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির। তবে গতকাল, শনিবার চতুর্থীতে ভিড়টা চোখ পড়ার মত হল। সন্ধ্যা থেকেই উত্তর থেকে দক্ষিণ, শ্রীভূমি (Sreebhumi Durga Puja Pandal) থেকে বেহালা ক্লাব (Behala Club)-লোকে লোকারণ্য। তবে আগের মত ভিড় মানেই তো ফুল মার্কস নয়, এই করোনা কালে তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ভিড় মানেই ভাইরাসের এন্ট্রির পথ সুগম করা। তাই এবার পুজোর আয়োজকরা অনেকটাই সজাগ। দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক না থাকলেই রে রে করে এগিয়ে আসছেন সবাই।

আদালত-প্রশাসনের নির্দেশ মত সবাই খোলা প্যান্ডে করেছেন। তবে সুরুচির মত হাইপ্রোফাইল পুজোয় খোলা প্যান্ডেলও গতকাল সন্ধ্যা, এমনকি রাতেও ভিড় হয়েছে। করোনা কালে কলকাতার পুজোর সেই ধারভার কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু রাতের আলোয় শহরের সেই মায়াবি মুখটা এবারও জ্বলজ্বল করছে। পুজোর রাতের শহরের মায়াবি আলোয়, নিজেকেও রঙীন দেখাচ্ছে। আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: বাংলার নবজাগরণের ইতিহাস তুলে ধরেছে বাবুবাগান সর্বজনীন

দেখুন টুইট

সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) পুজোয় ঢোকার মুখে গোল দাগ করে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার চেষ্টা হয়েছে। যে সব স্বেচ্ছাসেবকরা ভিড় সামলানোর দায়িত্বে রয়েছেন, তারা কোভিড প্রোটোকল রক্ষার দিকটাই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে এতো গেল কোভিড ভয়ের কথা। বাঙালি কিন্তু এসব তোয়াক্কা করছে না। চতুর্থীতে ঠাকুর দেখার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসটা চোখে পড়েনি। কিন্তু আজ, রবিবার। তাও আবার পঞ্চমী। আজ কী হবে? গতকাল রাত সাড়ে ১১টা-র পর ঠাকুর দেখার ভিড় অনেকটাই পাতলা হয়ে যায়। তবে সন্ধ্যার দিকে যেমন ভিড় হয়েছিল, তেমনটার থেকে আজ যদি বেড়ে যায়, তাহলে?

দেখুন টুইট

যাই হোক, এসব চিন্তার কথা। চাপ-চিন্তা নিয়েই তো জীবন। পেট্রোলের দাম একশো ছাড়িয়েছে, ভোজ্য তেলের দাম আকাশছোঁয়া, বাজারে সবজি কিনতে হলে মানিব্যাগটা দু বার দেখতে হয়, বাড়িতে ছেলেটা ভাল নম্বর পেয়েও বসে আছে। করোনা, লকডাউনে অর্থনীতিটা খারাপ। এসব নিয়ে বাঁচা বাঙালি এই কটা দিন একটু খোলা মেনে বাঁচতে চায়। দেবী দুর্গার কাছে চোখ বন্ধ করে বলতে চায়, 'মা এত কিছুর বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি দাও।' মহাপঞ্চমী শুরু হয়ে গিয়েছে। সব চাপ সুইচ অফ করে, চলুন উৎসবে গা ভাসাই। চাপ সুইচ অন হলে তো সেই দশটা পাঁচটার জীবন।