FASTag or GNSS: টোল আদায়ের ক্ষেত্রে আর ফাস্ট্যাগ নয়, গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম আনছে সরকার, জানুন বিস্তারিত
জানা যাচ্ছে, টোল আদায়ের ক্ষেত্রে ফাস্ট্যাগের বদলে আসতে চলেছে নয়া পদ্ধতি। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক নয়া পন্থা নিয়ে আসতে চাইছে সরকার। যার নাম গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম।
দেশের বিভিন্ন টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার সময়ে যানজট এড়াতে এবং টোল সংগ্রহকে একটি নির্দিষ্ট ছাতার তলায় আনতে ফাস্ট্যাগ (FASTag) চালু করেছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই)। টোল প্লাজাগুলো থেকে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে এই ফাস্ট্যাগ সাফল্যও লাভ করেছিল বেজায়। বেড়েছিল টোল আদায়ের সংখ্যাও। তবে ফাস্ট্যাগের (FASTag) কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে, বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অনেকগুলি গাড়িতে একটি ফাস্ট্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। কোথাও আবার একটি গাড়িতে একাধিক ফাস্ট্যাগ ব্যবহারের ঘটনাও ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, টোল আদায়ের ক্ষেত্রে ফাস্ট্যাগের বদলে আসতে চলেছে নয়া পদ্ধতি। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক নয়া পন্থা নিয়ে আসতে চাইছে সরকার। যার নাম গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (জিএনএসএস)।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি ইতিমধ্যেই এই উন্নত টোল আদায়ের পদ্ধতি ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। শীঘ্রই টোল আদায়ের পুরানো পন্থা ফাস্ট্যাগ বাতিল হয়ে এই নয়া প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জন্যে আসতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে।
কীভাবে কাজ করবে GNSS? জানুন...
GNSS মূলত একটি নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে কাজ করবে। এটির সঙ্গে একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইউনিট থাকবে। যা গাড়িতে ইনস্টল করা হবে। এটি ব্যবহারের ফলে গাড়িগুলিকে সহজেই ট্র্যাক করা যাবে।
গাড়ি যখন টোল পার করবে, তখন সিস্টেমটি টোল রাস্তার প্রকৃত ব্যবহার গণনা করবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে নেবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, ভ্রমণকারীরা কেবলমাত্র টোল হাইওয়েতে কভার করা দূরত্বের জন্য অর্থ প্রদান করবে।
GNSS ব্যবহারের সুবিধা...
ব্যবহারকারীরা টোল ব্যবহারের জন্য বেশি কিংবা কম নয়, একেবারে সঠিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করছে তা সুনিশ্চিত করবে এই গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম। ফলে প্রতিটি ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।
GNSS বাস্তবায়নের রূপরেখা...
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এত বড় প্রক্রিয়ার কখনই রাতারাতি বাস্তবায়নের হওয়া সম্ভব নয়। তার জন্যে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে, মডেলটির পরীক্ষা ইতিমধ্যেই দুটি প্রধান জাতীয় সড়কে শুরু হয়েছে। একটি কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু-মহীশূর জাতীয় সড়ক (NH-275) এবং অন্যটি হরিয়ানার পানিপথ-হিসার জাতীয় সড়ক (NH-709)।
পরীক্ষার সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্মকর্তারা পাঠাবেন পরিবহন দফতরে। শীর্ষ কর্মকর্তার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই এই নতুন টোল আদায় প্রক্রিয়া জিএনএসএস পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)