বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে দেশের প্রথম সোনা জিতে ইতিহাস পিভি সিন্ধু-র, মায়ের জন্মদিনে সোনার মেয়ে সিন্ধু
পিভি সিন্ধুর ইতিহাস। দেশের ব্য়াডমিন্টনের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব ব্য়াডমিন্টন চ্য়াম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন সিন্ধু। রবিবার বাসেলে বিশ্বমিটে জাপানের নোজোমি ওকুহারাকে ২১-৭,২১-৭ হারিয়ে বহু প্রতীক্ষিত সোনার পদক জিতলেন সিন্ধু। এর আগে গত দু বছর ফাইনালে হেরেছিলেন সিন্ধু। ২০১৭ বিশ্বমিটের ফাইনালে এই ওকুহারা-র কাছেই হেরেছিলেন।
বাসেল, ২৫ অগাস্ট: পিভি সিন্ধু (PV Sindhu)-র ইতিহাস। মায়ের জন্মদিনে ফাইনালের গাঁট ছাড়িয়ে দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব ব্য়াডমিন্টন চ্য়াম্পিয়নশিপে (World Badminton Championships 2019) সোনা জিতলেন সিন্ধু। রবিবার বাসেলে বিশ্বমিটে জাপানের নোজোমি ওকুহারাকে ২১-৭,২১-৭ হারিয়ে বহু প্রতীক্ষিত সোনার পদক জিতলেন সিন্ধু। এর আগে এই বিশ্বমিটে গত দু বছর ফাইনালে হেরেছিলেন সিন্ধু। সিন্ধুই দেশের প্রথম শাটলার হিসেবে বিশ্বমিটের ফাইনালে উঠেছিলেন। পরপর দুবার রুপো জেতার পর, এবার পেলেন সোনা। রুপোর যন্ত্রণা কাটিয়ে সিন্ধুর সোনালী যাত্রা শুরু হল।
২০১৭ বিশ্বমিটের ফাইনালে এই ওকুহারা-র কাছেই হেরেছিলেন। আজ দু বছর আগের ফাইনালে হারের শোধটা এমনভাবে তুললেন ব্য়াডমিন্টিনের জাপানি বোমা ওকুহারা সিন্ধু স্রোতের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না। মাত্র ৩৬ মিনিটেই ওকুহারাকে উড়িয়ে দেন সিন্ধু।
গোটা ম্য়াচে সিন্ধু যেখানে ৪২ পয়েন্ট পেলেন, সেখানে ওকুহারা পেলেন ৭। গত বছর চিনের নানজিংয়ে বিশ্বমিটের ফাইনালে অলিম্পিক সোনাজয়ী ক্যারোলিনা মারিনের কাছে হারের সিন্ধুকে অনেকে চোকার্স বলে কটাক্ষ করেছিলেন। একের পর এক টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারের পর সিন্ধু যেন রুপোর মেয়ে তকমা পেয়ে যাচ্ছিলেন। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে রুপো, পর দুটো বিশ্ব মিটে রুপো। রুপোর মেয়ে সিন্ধু সোনালী দিনে পা দিলেন। ভারতও বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের কুলীন দেশে পরিণত হল। বিশ্বের দ্বাদশ দেশ হিসেবে ব্য়াডমিন্টনের বিশ্বমিটের ইতিহাসে সোনা জিতল ভারত। রজার ফেডেরারের দেশে ইতিহাস গড়ে ভারতীয় ব্য়াডমিন্টনকে সোনার খেলায় পরিণত করলেন সিন্ধু।
ফাইনালে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত সিন্ধু তাঁর জেতা সোনার পদক তাঁর মা-কে উৎসর্গ করে জানালেন, আজ আমার মায়ের জন্মদিন। আগামী বছক টোকিও অলিম্পিকের আগে সিন্ধুর এই সোনা জয় দেশবাসীর প্রত্যাশা বাড়াল। অভিনন্দনের জোয়ার ভাসছেন সিন্ধু। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে রুপোটা এবার টোকিওতে সোনা হওয়ার অপেক্ষা শুরু হল। আসলে ফাইনালটা একটা বড় গাঁট হয়েছিল সিন্ধুর কাছে। সেটা আজ কাটায় গোটা দেশ আনন্দে ভাসছে। ইতিহাসের আনন্দে। বড় স্বপ্নপূরণের আনন্দে।