বিশ্বকাপের মাঝেই কাতারে চোখরাঙাচ্ছে 'ক্যামেল ফ্লু', আসুন জেনে নেওয়া যাক রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ নিঃসন্দেহে এই সংক্রামক ব্যধির আঁতুড়ঘর। বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, সমর্থক এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে আবারও এক অতিমারির আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Camel Flu Infection (Photo Credit: Pixabay)

 করোনার পর কাতারের নতুন আতঙ্ক এখন ‘ক্যামেল ফ্লু’। বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে গোটা দেশ। চোখের সামনে থেকে বিশ্ব ফুটবলের তারকাদের পায়ের জাদু দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ এই মুহূর্তে রয়েছেন সেই দেশে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ফেরত এক গবেষক কিন্তু সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ দেখতে যাওয়া সকল ফুটবলপ্রেমীদের সর্তক করে তিনি বলেছেন, কোভিড ১৯-এর থেকেও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে চলেছে ‘মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম’। স্থানীয়দের কাছে যা ক্যামেল ফ্লু নামেও পরিচিত। ২০১২ সালে সৌদি আরবেই প্রথম এই রোগের সন্ধান পাওয়া যায়।

লন্ডনের একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আরবে এখনও পর্যন্ত ২৬০০ জন মানুষের দেহে এই ভাইরাসের অস্তিস্ব মিলেছে।

এই ফ্লু ‘জ়ুনোটিক’। অর্থাৎ, যে ভাইরাস মানুষ এবং পশু, সকলের মধ্যেই সংক্রমণ ঘটায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সংক্রামিত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগ সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলার অন্যতম একটি কারণ।

যেহেতু আরবে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে উটে চড়া বা ‘সাফারি’ করা নিয়ে বেশ উন্মাদনা থাকে, তাই কাতারে ফুটবল দেখতে যাওয়া সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁরা যেন উটের সংস্পর্শে না আসেন। যদিও সেই দেশের পর্যটন ব্যবসা প্রসারের জন্য উট সাফারির বিজ্ঞাপন এখনও রয়েছে চারদিকে।

গবেষকরা বলেছেন, ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ নিঃসন্দেহে এই সংক্রামক ব্যধির আঁতুড়ঘর। বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, সমর্থক এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে আবারও এক অতিমারির আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা। যদিও নামকরণ করা হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ‘মার্স-সিওভি’ সংক্রান্ত কোনও বিধিনিষেধের নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।

‘ক্যামেল ফ্লু’-র লক্ষণগুলি কি করোনার থেকে আলাদা?

 করোনার উপসর্গের মতোই ক্যামেল ফ্লু হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা যায়। এই ধরনের ভাইরাস বাহিত রোগের ক্ষেত্রে ‘নিউমোনিয়া’ হওয়া স্বাভাবিক। এ ছাড়াও ডায়েরিয়া এবং পেটে অন্ত্রজনিত সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ।