Fact Check : সাবধান! আম খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন, না হলে পড়তে পারেন বিপদে

সম্প্রতি আম ও কোল্ড ড্রিংক নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে (WhatsApp Message) ভাইরাল হয়েছে। যে মেসেজটিতে দাবি করা হয়েছে আম ও কোল্ড ড্রিংক একসঙ্গে খেলে পেটের ভিতর বিষ তৈরি হয়।

কলকাতা: সম্প্রতি আম এবং নরম পানীয় নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে (WhatsApp Message) ভাইরাল হয়েছে। যে মেসেজটিতে দাবি করা হয়েছে আম ও নরম পানীয় একসঙ্গে খেলে পেটের ভিতর বিষ তৈরি হয়।সেখানে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে আমের মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড এবং নরম পানীয়ে (Cold Drink) থাকা কার্বনিক অ্যাসিড একসঙ্গে মেশার ফলে বিষক্রিয়া হয়।

সেখানে বলা হয়েছে, আম খাওয়ার পর নরম পানীয় পান করবেন না। সম্প্রতি কয়েকজন চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে তাঁরা আম খাওয়ার পরই নরম পানীয় পান করেন। এরপর তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হোয়াটস অ্যাপের ওই মেসেজে আরও দাবি করা হয়েছে, আম খাওয়ার পর চিকিৎসকরা নরম পানীয় বা কোনও  ঠাণ্ডা পানীয় পান না করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কোল্ড এবং পানীয়তে থাকা কার্বনিক অ্যাসিডের এক সঙ্গে মিলিত হয়ে আপনার পেটে বিষ তৈরি করে। দয়া করে এই বার্তাটি আপনার সমস্ত প্রিয়জনকে পাঠান।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে প্রায়শই এধরনের প্রচুর মেসজ আসতে থাকে। সব কিছু চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে না নিয়ে তাঁর সত্যতা বিচার করে নেওয়া উচিত।

এই দাবি কি সত্যি? আম খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানীয় পান করা কি সত্যিই মারাত্মক? দেখে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।

পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক কারিশমা শাহ জানিয়েছেন, কার্বনেটেড যুক্ত কোনও পানীয় পান করলে পেটের ভিতর একটি বায়ু পকেট তৈরি হয়, যা খাবারকে ভালভাবে হজম করতে বাধা দেয়।

পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ বলেছেন, এই দুটি জিনিষ একসঙ্গে খাওয়া প্রাণঘাতী নয়, তবে এটি গ্যাস, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো গুরুতর হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আম শুধু ঠাণ্ডা পানীয়র ক্ষেত্রেই নয়, আম খাওয়ার ঠিক পরে কোনও কিছুই খাওয়া উচিত নয়। কারণ আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকে। আপনি যখন এটি অন্য কিছু দিয়ে খান, তখন আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তাই আলাদা করে খেতে হবে।

পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, দুধ, দই, বাটারমিল্ক, দুধ থেকে তৈরি জিনিষ, ঠাণ্ডা পানীয়, এগুলির সঙ্গে আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। আর গ্যাস, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে অবশ্যয়  বায়ুযুক্ত পানীয় পান করা এড়িয়ে চলা উচিত।



@endif