দোল পূর্ণিমায় ভক্ত সমাবেশে জেগে ওঠে মহাপ্রভুর স্মৃতিধন্য নবদ্বীপ ধাম

বৈষ্ণব ধর্মের পীঠস্থান নবদ্বীপে মহাপ্রভুর জন্মস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।তবুও তিনি যে ভাগীরথীর তীরেই আবির্ভূত হয়েছিলেন তা নিঃসন্দেহাতীত ভাবেই বলাই যায়। এখানকার প্রায় সব বাড়িতেই পূজিত হচ্ছেন প্রভু গৌরাঙ্গ। সারদিন ধরেই চলছে ভজন নাম সংকীর্তন। কলকাতা থেকে নবদ্বীপ যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হল ট্রেন। একদিন অথবা দুদিনের ট্রিপে টুক করে ঘুরে আসতে পারেন মহাপ্রভুর লীলাক্ষেত্র, হলফ করে বলতে পারি ভালই লাগবে।

নবদ্বীপ ধাম(Photo credit:Instagram)

ছুটিতে ছোটাছুটি করবেন না তো কবে করবেন, তবে সেই ছোটাছুটি যদি হয় বেড়াতে যাওয়ার তাহলে তো সোনায় সোহাগা। সপ্তাহান্তে ছুটি মিলতেই ঝোলা কাঁধে বেরিয়ে পড়ুন দেখি, মন এমনিই ভাল হয়ে যাবে। আমাদের বাংলায় দর্শনীয় স্থানের শেষ নেই শুধু খুঁজেপেতে যাওয়ার উদ্যোগ করতে হবে এই যা। করে ফেললেই হল, তারপর শুধু হারিয়ে যাওয়ার পালা। আজ টইটইয়ের ২৫ পর্বে রইল নবদ্বীপ ধামের কথা।

নবদ্বীপ(Nabadwip)

গঙ্গা ছুঁয়ে থাকা এই বঙ্গে তীর্থস্থানের অভাব নেই, একেক জায়গার গুরুত্ব এক এক রকমের। যেমন মহাপ্রভুর স্মৃতিধন্য নবদ্বীপ-এর কথা আজ বলব। ভাগীরথীর(River Bhagarithi) পাড়ে ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দের দোলপূর্ণিমায় মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের (Mahaprabhu Sri Chaitanya)আবির্ভাব ঘটে।বৈষ্ণব ধর্মের পীঠস্থান নবদ্বীপে মহাপ্রভুর জন্মস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।তবুও তিনি যে ভাগীরথীর তীরেই আবির্ভূত হয়েছিলেন তা নিঃসন্দেহাতীত ভাবেই বলাই যায়। এখানকার প্রায় সব বাড়িতেই পূজিত হচ্ছেন প্রভু গৌরাঙ্গ। সারদিন ধরেই চলছে ভজন নাম সংকীর্তন। কলকাতা থেকে নবদ্বীপ যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হল ট্রেন। একদিন অথবা দুদিনের ট্রিপে টুক করে ঘুরে আসতে পারেন মহাপ্রভুর লীলাক্ষেত্র, হলফ করে বলতে পারি ভালই লাগবে।

হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে যাওয়া যায় নবদ্বীপ। কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগর গিয়ে সেখান থেকে বাসে যাওয়া যায়। অথবা কৃষ্ণনগর থেকে ন্যারোগেজ লাইনে নবদ্বীপধাম স্টেশনে পৌঁছে ফেরি পেরিয়ে নবদ্বীপে যাওয়া যায় বা সরাসরি বাসে নবদ্বীপে পৌঁছনো যায়। তারপর রিকশা ভাড়া করে বা পায়ে পায়ে ঘুরে নেওয়া যায় বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর প্রতিষ্ঠিত দারু নির্মিত মহাপ্রভুর বিগ্রহ মন্দির, বুড়ো শিব, হরিসভা, পোড়ামাতলা মহাপ্রভু মন্দির, অদ্বৈতপ্রভু মন্দির, জগাই-মাধাই, শচীমাতা-বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্মভিটায় নিত্যানন্দপ্রভুর মন্দির, বড় আখাড়া, শ্রীশ্রী গোবিন্দজিউ, সোনার গৌরাঙ্গ, সমাজবাড়ি, বড় রাধেশ্যাম, রাধাবাজারে শ্রীসারস্বত গৌড়ীয় আসন, দেবানন্দ গৌড়ীয় মঠ, মণিপুর পাড়ায় সোনার গৌরাঙ্গ, ।মন্দিরের উপনিবেশ যেন নবদ্বীপ – পুরসভার হিসাবে ১৮৬টি মন্দির।

সন্ধ্যায় গোটা নবদ্বীপ ধাম যেন এক অন্যরূপে নন্দিত হয়ে ওঠে। তাই রাতে থাকার ইচ্ছে থাকলে বুক করে নিতে পারেন পুরসভার ট্যুরিস্ট লজ। রয়েছে বেসরকারি হোটেল, লজ ও ধর্মশালাও।

এখানকার  প্রধান আকর্ষণ রাস উৎসব। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে ধুমধামে পালিত হয় এই রাস মেলা। রাসে মূর্তিপূজায় বৈচিত্র্য আছে নবদ্বীপে। রাসকালে শাক্ত মতে পূজার্চনা হয়। নানা রূপে বিশালাকার শাক্ত দেবী দুর্গা,(Goddess Durga and Kali কালী ছাড়াও অন্যান্য দেবদেবীও পূজিত হন।



@endif