Reduce Cholesterol : কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেলুন এই উপায়ে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে ২৫ শতাংশ

বর্তমান সময়ে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) পরিমাণ বাড়ছে। এর ফলে হৃদরোগ (Heart Disease), স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগগুলি বেশি করে দেখা দিচ্ছে।

Reduce cholesterol (Photo Credit Pixabay)

নয়াদিল্লি : বর্তমান সময়ে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) পরিমাণ বাড়ছে। এর ফলে হৃদরোগ (Heart Disease), স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগগুলি বেশি করে দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সরিতা রাও বলেন, খারাপ চর্বি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে একজন মানুষের জীবনে হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। যদি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়, তাহলে তা কমাতে জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কী করবেন দেখুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

নিয়মিত ব্যায়াম করলে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শুধু তাই নয়, ব্যায়াম ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রেখে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও কমাতে পারে। সপ্তাহে মাত্র ৪ থেকে ৬ বার ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে অনেক উপকার পাবেন।

ওজন কমানো

অতিরিক্ত ওজন আপনার কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী। আপনি যদি রোগ এড়াতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ধুমপান ত্যাগ করুন

ধূমপান এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অতিরিক্ত ধূমপান আপনার এইচডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। এমনকি সেকেন্ডহ্যান্ড ধোঁয়ার এক্সপোজার আপনার এইচডিএল স্তরকে প্রভাবিত করতে পারে।তাই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য ধূমপান ত্যাগ করা খুবই জরুরী।

তাজা ফল ও সবজি খান

উচ্চ কোলেস্টেরল সাধারণত চর্বির সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা যায়। বেশি চর্বি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এমন খাবার আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে অল্প পরিমাণে চর্বি থাকে। খাদ্যতালিকায় ফল এবং সবজি একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া কম করুন

সম্ভব হলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্সফ্যাট বেশি থাকে এমন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

খাদ্যতালিকায় ফাইবার রাখুন

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় ফাইবার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফল, শাকসবজি, লেবু, বাদাম এবং বীজে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়।

প্যাকেটজাত খাবারের পুষ্টির তথ্যের লেবেল দেখে নিন

যেকোনো প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কেনার আগে পুষ্টির লেবেল পড়ে নেওয়া উচিত। এই লেবেল যে কোনো খাবারের পুষ্টি উপাদান দেওয়া থাকে। এটি আমাদের খাদ্যে পাওয়া ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টির পরিমাণ জানতে সাহায্য করে। আরও পড়ুন :  Food Cravings : সারাক্ষণ খাই খাই ভাব? জানুন আসক্তি কাটানোর উপায়