Durga Puja 2019: দুজনে মুখোমুখি আর মাটির ভাঁড়ে তন্দুরি চা, তৃষ্ণা মেটাতে পুজো আসছে
তন্দুরি রোটি, তন্দুরি চিকেন, মটন, তদন্দুর মশলা, তন্দুরি নাইটস সবেতেই জেনারেশন নেক্সটের মন মজে থাকে। সেই তন্দুরি কিনা এবার চায়ের সঙ্গে জুড়ল। তন্দুরি চা, মনে হতেই যেন ঘ্রানেন্দ্রীয় অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠল। আহা এমন চা এক কাপ কপালে জুটলে হয়তো মার্গ দর্শনও সার্থক হবে। কিন্তু পাব কোথায়?
চা, এটুকু শুনলে বাঙালির ধরে প্রাণ আসে। জিভের আড়ষ্টতা কেটে যায়। তৃষ্ণা যেন মুহূর্তে উধাও হয়। চায়েই মিশে আছে ভাললাগার মুহূর্তরা। সে কলেজ কেটে বান্ধবীর সঙ্গে গঙ্গার পাড়ে আড্ডাই হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে ঠেক, চায়ের মহিমা শুধু চা-ই জানে। যখন বেকার জীবনে চা-ই ছিল বাড়ির বাইরের অন্যতম খাবার তখন থেকে আজ অনেক ওঠাপড়া মাঝে চলে গেলেও ছবিটা বদলায়নি। আর সেই স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় পানীয়টি যখন জীবন সুধা রূপে মাটির ভাঁড়ে সামনে পরিবেশিত হয় তখন তো লোভ সামলানো সম্ভব নয়। তা-য় এবার পুজোয় নাকি বাজারে মিলছে তন্দুরি চা, শুনেই জিভটা সিরসিরিয়ে উঠল। একবার চেখে দেখতে মনটাও কেমন যেন আঁকুপাঁকু করছে।
তন্দুরি রোটি, তন্দুরি চিকেন, মটন, তদন্দুর মশলা, তন্দুরি নাইটস সবেতেই জেনারেশন নেক্সটের মন মজে থাকে। সেই তন্দুরি কিনা এবার চায়ের সঙ্গে জুড়ল। তন্দুরি চা, মনে হতেই যেন ঘ্রানেন্দ্রীয় অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠল। আহা এমন চা এক কাপ কপালে জুটলে হয়তো মার্গ দর্শনও সার্থক হবে। কিন্তু পাব কোথায়? মন খারাপ না করে শহরের যেকোনও পাঁচতারা হোটেলে গেলেই হয়তো হাতের কাছে এমন পানীয় চলে আসবে। কিন্তু আমরা আম বাঙালি তাই ফুড কোর্ট ছেড়ে ফুটপাথে পাত পেড়ে খেতে বেশ স্বচ্ছন্দ। আর যদি চায়ের মামলা হয় তো ফুটপাথই সই, কেন না ওই বছরে একবার তো আর চা খাব না। শপিংয়ে বেরিয়ে যে অগুন্তি ভাড় থেকে সুধারস পান করব তারজন্য ফুটপাথই ভরসা নাহলে কেনাকাটার আগেই পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যাবে। আরও পড়ুন-Durga Puja 2019: পুজোয় এবার বাজার মাতাচ্ছে রানু শাড়ি, একটা তো ওয়ার্ডরোবে রাখতেই হবে
দুধ চিনি চায়ে মিশে যখন পানীয়টি সুগন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে তখন গুটিগুড়ি চায়ের দোকানের বেঞ্চে গিয়ে বসলেন। ডেকচি নামানো হয়েছে চা, পাশের উনুনের গনগনে আগুনকে ঢেকে তেতে চলেছে মাটির হাঁড়ি। তেতে পুড়ে গন্ধ বেরচ্ছে। আচমকা সাঁড়াশি দিয়ে সেই হাঁড়ি নামিয়ে নিলেন দোকানি, আগুন কমিয়ে দিয়ে তপ্ত মাটির হাঁড়িতে ঢেলে দিলেন ডেকচির চা। সঙ্গে সঙ্গেই ধোঁয়ায় ঢেকে গেলে গোটা দোকান। কোনওরকমে চোখটা সইয়ে নিয়ে দেখলেন, মাটির হাঁড়ি থেকে বুদবুদ উঠছে, ফেনায় ঢেকে পুরো ক্যাপচিনো চেহারা। সামান্য থিতিয়ে এলেই ছোট্টো ভাড় আপনার সামনে হাজির মুখ খোলার আগেই তখন নাক মৌতাতে ভরপুর। তন্দুরি চা, পোড়া মাটির গন্ধ, গ্রাম বাংলা আর মোগলাই খানার আভাস। এক চুমুক গলায় যেতেই শরতের আকাশ যেন মোহময় হয়ে উঠল। বড় প্রেম পাচ্ছে পুজো আসছে তো। এই বেলা প্রিয়তমাকে এককাপ তন্দুরি চা খাইয়ে ফেলুন, দেখবেন আসছে পুজোতে আপনিই সেরা প্রেমিকের শিরোপা জিতছেন।