Independence Day Speech: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিতে হবে স্কুলে, কলেজ, অফিস বা পাড়ার অনুষ্ঠানে? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখুন...

প্রতি বছর ১৫ অগস্ট গোটা দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। তাই শুরু হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। প্রায় ২০০ বছর ধরে ব্রিটিশদের শাসনকালের পর ১৫ আগস্টের দিনে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। এই দিনে দিল্লির লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। তারপর থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্কুল, কলেজ, অফিস এবং পাড়ায় পাড়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার পর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেককেই বক্তৃতা দিতে হয় এই দিনে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভাষণ দেওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে।

স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দিতে হলে সবার আগে জানতে হবে ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মহাপুরুষদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত। জাতীয় সঙ্গীতের গুরুত্ব, পতাকার ইতিহাস নিয়েও কথা বলা যেতে পারে। তবে বক্তৃতা কীভাবে শুরু করা হয় সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বক্তৃতা শুরু করার সময় প্রথমেই সংক্ষেপে নিজের পরিচয় দিয়ে তারপর অতিথি এবং শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানাতে হবে। এই দিনের বক্তৃতার মূল বিষয় অবশ্যই হওয়া উচিত স্বাধীনতা দিবসের গুরত্ব। তাই বক্তৃতায় বিখ্যাত মানুষের বলা উক্তিগুলি বলা যেতে পারে। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উক্তিগুলি বলা যেতে পারে ভাষণে। এই ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বললে ভাষণ হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়।

ভাষণের শেষে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিটি ভারতীয়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিতে হবে। দেশের সামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করার বিষয়ে কথা বলতে হবে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকলকে দেশের শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার কথা বলতে হবে এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দায়িত্বশীল নাগরিক হওয়ার আহ্বান জানাতে হবে ভাষণে। ভাষণের শেষ লাইন হওয়া উচিত, 'আমাদের প্রিয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আরও উন্নত করার জন্য চলুন সব ধরনের চেষ্টা করার অঙ্গীকার করি সকলে।'