Parliament Special Session: পুরনো সংসদ ভবনে শেষ অধিবেশন, চন্দ্রায়ন থ্রি থেকে জি ২০, আবেগঘন প্রধানমন্ত্রী কী কী বললেন দেখুন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ভারতীয়দের কথা আজ সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। যা আমাদের সংসদের ৭৫ বছরের ইতিহাসে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল। চন্দ্রায়ন থ্রি-এর সাফল্য শুধু ভারতকেই নয়, গোটা বিশ্বকে গর্বিত করেছে। চন্দ্রায়ন থ্রি গোটা ভারতের গর্ব। এটি কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সাফল্য নয় বলেও সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: গণেশ চতুর্থীতে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ দিন ধরে চলবে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন। সংসদের বিশেষ অধিবেশন উপলক্ষ্যে কার্যত আবেগঘন হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরনো সংসদে আজই শেষ অধিবেশন। শেষ অধিবেশনে একেবারে আবেগঘন হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। সংদের বিশেষ অধিবেশনে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোন কোন বিষয়ের বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, দেখুন...
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ভারতীয়দের কথা আজ সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। যা আমাদের সংসদের ৭৫ বছরের ইতিহাসে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল। চন্দ্রায়ন থ্রি-এর সাফল্য শুধু ভারতকেই নয়, গোটা বিশ্বকে গর্বিত করেছে। চন্দ্রায়ন থ্রি গোটা ভারতের গর্ব। এটি কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সাফল্য নয় বলেও সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি চন্দ্রায়ন থ্রি-এর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, ভারতের সেই সমস্ত বিজ্ঞানীদেরও সংসদের বিশেষ অধিবেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান।
চন্দ্রায়ন থ্রি-এর পাশাপাশি জি ২০-এর সাফল্যকেও গোটা ভারতের বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। জি ২০ সম্মেলনও কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সাফল্য নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। জি ২০ সম্মেলনের যে সাফল্য, তা ভারতের সর্বশক্তির জন্যই সম্পন্ন হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ভারতের স্বাধীনতার আগে এই সংসদ ছিল 'ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের' জায়গা। স্বাধীনতার পর এটি সংসদ ভবনের পরিচয় পায়। এই সংসদ ভবন তৈরির সংকল্প এবং তার প্রস্তাবনা বিদেশিদের থাকলেও, এটি তৈরি করতে যে পরিশ্রম, অর্থ এবং ঘাম ঝরে, তা ভারতবাসীর ছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন সংসদ ভবনে এবার থেকে অধিবেশন বসলেও, পুরনো ভবনটি দেশের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসবের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি যখন প্রথম সংসদ সদস্য হিসাবে এখানে প্রবেশ করি, তখন গণতন্ত্রের মন্দিরকে প্রণাম করেছিলাম। এটা তাঁর জীবনের আবেগঘন মুহূর্ত ছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান কখনও সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে পারে, তা তিনি কখনও কল্পনা করতে পারেননি। শুধু তাই নয়, কখনও দেশের মানুষের এত ভালবাসা তিনি পাবেন, তাও ভাবতে পারেননি বলে আজ সংসদের বিশেষ অধিবেশনে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংসদের পুরনো ভবনের সঙ্গে অনেক ভাল, মন্দ মুহূর্ত তাঁর জড়িয়ে রয়েছে। সংসদ ভবনে অনেক মত বিরোধ হয়েছে কিন্তু প্রত্যেকে এখানে পরিবারের মত এত বছর থেকে এসেছেন বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।