India-China Face-Off in Ladakh: ‘সবাই তো মারা যায়, তবে দেশের জন্য শহিদ হওয়ার সুযোগ সম্মানের;’ কর্ণেল ছেলেকে হারিয়ে কী বললেন বাবা?
সোমবার রাতে লাদাখের গলওয়ান ভ্যালিতে লাল ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন বিহার রেজিমেন্টের কর্ণেল সন্তোষ বাবু। ছেলের মৃত্যুর খবরটা প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি শহিদ কর্ণেলে বাবা-মা। পরে সেনা কর্তাদের তরফে জানানো হলে তাঁরা ভেঙে পড়েন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, শহিদ কর্ণেলের বাবা বলেছেন, ছেলের মৃত্যুতে আমি ব্যথিত তবে গর্বিতও। লাদাকে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পরে পরেই মন শক্ত করে নিয়েছিলেন তিনি। জানতেন কোনও না কোনওদিন এমন খবর আসবে। “প্রত্যেকেই মারা যায়, তবে দেশের জন্য শহিদ হওয়া তো সম্মানের।”
হায়দরাবাদ, ১৭ জুন: সোমবার রাতে লাদাখের গলওয়ান ভ্যালিতে লাল ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন বিহার রেজিমেন্টের কর্ণেল সন্তোষ বাবু। ছেলের মৃত্যুর খবরটা প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি শহিদ কর্ণেলে বাবা-মা। পরে সেনা কর্তাদের তরফে জানানো হলে তাঁরা ভেঙে পড়েন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, শহিদ কর্ণেলের বাবা বলেছেন, ছেলের মৃত্যুতে আমি ব্যথিত তবে গর্বিতও। লাদাকে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পরে পরেই মন শক্ত করে নিয়েছিলেন তিনি। জানতেন কোনও না কোনওদিন এমন খবর আসবে। “প্রত্যেকেই মারা যায়, তবে দেশের জন্য শহিদ হওয়া তো সম্মানের।”
শহদির কর্ণেল সন্তোষ বাবু তেলেঙ্গানা সূর্যপেট জেলার বাসিন্দা। ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসারের পদে ছিলেন তিনি। বাবা-মা ছাড়াও রেখে গেলেন স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে। তাঁরা দিল্লিতে থাকেন। শহিদ কর্ণেল গত রবিবার শেষবারের মতো মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখনই লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে আলোচনাও হয় মা-ছেলের মধ্যে। খুব শিগগির হায়দরাবাদে পোস্টিং হবে এমনটাও জানিয়েছিলেন। সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যাকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। ১৫ ও ১৬ তারিখ রাতে সেনা সংঘর্ষের পর যা খবর তাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। আরও পড়ুন-India-China Tensions: গলওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষ, বিপত্তি এড়াতে বাতিল দুমকা থেকে লেহ গামী শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন
এদিকে সীমান্তে সংঘর্ষ লেগেছে, তাই ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে লেহ-র উদ্দেশে রওনা হতে চলা বিশেষ ট্রেন বাতিল হল। জানা গিয়েছে, লাদাখে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (Border Roads Organisation) তরফে রাস্তা তৈরির কাজ হবে। সেজন্যই দুমকা থেকে ১৬০০ নির্মাণ শ্রমিককে লেহ-তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। লাদাখে রাস্তা তৈরির জন্য নির্মাণ শ্রমিক প্রয়োজন। সেকারণে ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের এই মর্মে একটি চুক্তিও হয়েছে। এর পর গত ১৩ জুন দুমকা থেকে ১৬০০ শ্রমিক নিয়ে একটি বিশেষ ট্রেন লেহ-তে পৌঁছে গিয়েছে। ফের শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন লেহ-র অভিমুখে রওনা হওয়ার আগেই তাতে বাধা পড়ল।