FATF Report: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ় সইদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি পাকিস্তান, বলল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স
ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা যে আদৌ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা আবারও সামনে এল। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (Financial Action Task Force) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ জানাল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ১২৬৭ মেনে পাকিস্তান হাফিজ় সইদ (Hafiz Saeed) সহ অন্য জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। এই জঙ্গিরা লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba), জামাত-উদ-দাওয়ার-(Jamaat-ud-Dawa) মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের এই বক্তব্য পাকিস্তানের ইমরান খান (Imran Khan) সরকারের পক্ষে একটি বড় ধাক্কা।
নতুন দিল্লি, ৭ অক্টোবর: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা যে আদৌ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা আবারও সামনে এল। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (Financial Action Task Force) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ জানাল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ১২৬৭ মেনে পাকিস্তান হাফিজ় সইদ (Hafiz Saeed) সহ অন্য জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। এই জঙ্গিরা লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba), জামাত-উদ-দাওয়ার-(Jamaat-ud-Dawa) মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের এই বক্তব্য পাকিস্তানের ইমরান খান (Imran Khan) সরকারের পক্ষে একটি বড় ধাক্কা।
সন্ত্রাসবাদী ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিতে অর্থ যাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ঠিক কোথায়, তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করার পরে FTF তার রিপোর্টে বলেছে, "পাকিস্তানকে তার অর্থ তছরুপ, সন্ত্রাসবাদীদের ফান্ডিংসহ আন্তর্জাতিক ঝুঁকি এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত নানা ঝুঁকি চিহ্নিত করতে হবে, মূল্যায়ন করতে হবে এবং বুঝতে হবে। কারণ পাকিস্তানের মাটিতে এখনও আল-কায়দা, জামাত-উদ-দাওয়া, জইশ-ই-মহম্মদসহ অনেকগুলি জঙ্গিগোষ্ঠী কাজ চালাচ্ছে।" আরও পড়ুন: 'নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কেউ ভারতে ঢুকবেন না', পালটি খেয়ে সেনা ও নাগরিকদের সতর্ক করলেন ইমরান খান
রিপোর্টে বলা হয়েছে, "কয়েকটি সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ব্যতীত পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ১২৬৭-র তালিকাভুক্ত কাজ সেই সব ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিশেষ করে লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ-দাওয়ার সঙ্গে জড়িত হাফিজ় সইদ বা অন্যদের বিরুদ্ধে।"
রিপোর্টে পাকিস্তানের নান কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যেমন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান অ্যান্টি টেররিজ়ম অর্ডিন্যান্স (সংশোধনী) পাস করেছে। এর ফলে রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত কোনও ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এই সংশোধনী গৃহীত হওয়ার পরে পাকিস্তান কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর আগে নূন্যতম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।" আগামী সপ্তাহে প্যারিসে FTF-র প্লেনারি রয়েছে। এই রিপোর্টের পর প্লেনারিতে ভারতের দাবি জোরদার হবে বলেই মনে হচ্ছে। ১৩-১৮ অক্টোবরের বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ তছরুপের বিষয়ে APG-র প্রকাশ করা মিউচুয়াল ইভালুয়েশন রিপোর্টের ফলাফলগুলি বিবেচনা করা হবে।