JNU Clashes: আমিষ খাবারে আপত্তি নেই, জেএনইউতে সংঘর্ষে দাবি এবিভিপির, বামেরাও সরব পালটা অভিযোগে
গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করে বামেরা। এবিভিপির বিরুদ্ধে বসন্ত বিহারের এসিপির কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এবিভিপির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
দিল্লি, ১১ এপ্রিল: রাম নবমীতে (Rama Navami) বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে আমিষ খাবার নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেএনইউ। বাম এবং এবিভিপি (ABVP) ছাত্র সংগঠনের বিবাদের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ওই ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর মেলে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলেন করে এবিভিপি। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি রোহিত কুমার বলেন, আমিষ বা মাংস খাওয়া নিয়ে গন্ডগোল হয়নি। রবিবার রাম নবমীর পুজোর আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে। বাম ছাত্র সংগঠন সেই পুজো নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ এবিভিপির। আমিষ খাবার নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। হস্টেলে ইফতারের যেমন আয়োজন করা হয়, তেমনি পুজোও করা হয়। যে কোনও ধরনের হিন্দু অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে, তা বন্ধ করতে বাম ছাত্র সংগঠন উদগ্রীব হয়ে ওঠে বলেও অভিযোগ করা হয় এবিভিপির তরফে। সেই কারণে আমিষ খাবারকে হাতিয়ার করে বাম ছাত্র সংগঠনের তরফেল গন্ডগোল তৈরির চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ এবিভিপির।
অন্যদিকে গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করে বামেরা। এবিভিপির বিরুদ্ধে বসন্ত বিহারের এসিপির কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এবিভিপির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Deoghar: দেওঘরে 'ভয়াবহ' রোপওয়ে দুর্ঘটনা, মৃত্যু মহিলার, রবিবার রাত থেকে আটকে ৪৮ জন
এমনকী এবিভিপি বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের উপর লাঠি, ফুলের টব নিয়ে চড়াও হয়। তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি জেএনইউতে যখনই গন্ডগোল শুরু হয়, সেই সময় পুলিশের সামনে এবিভিপি তাদের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করা হয় বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে।