Nithyananda: ইকুয়েডরে মস্ত দ্বীপ কিনে দেশ গড়েছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত গডম্যান নিত্যানন্দ, নাম দিয়েছেন 'কৈলাস'

বিতর্কিত স্বঘোষিত গডম্যান নিত্যানন্দ (Nithyananda) দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে দাবি করেছিল গুজরাত পুলিশ (Gujrat Police)। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ (Rape) ও ছোটো ছেলে-মেয়েদের অপহরণ করে আশ্রমে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে। আর এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর খবর। ইকুয়েডরে তিনি একটি গোটা দ্বীপ কিনে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, সেই দ্বীপের নাম রেখেছেন 'কৈলাস' (Kailaasa)। সেটাকেই তিনি নিজের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, সেই দ্বীপের পতাকা, পাসপোর্ট, এমব্লেম তৈরি হয়ে গেছে। নিত্যানন্দ একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন। সেই ওয়েবসাইটে নিজের তৈরি দেশকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ হিন্দু দেশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অসমর্থিত সূত্র অনুসারে, নিত্যানন্দ মধ্য লাতিন অ্যামেরিকার ইকুয়েডরে একটি দ্বীপ কিনেছেন এবং একে একটি স্বাধীন, নতুন দেশ হিসাবে অভিহিত করতে শুরু করেছেন। ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, "কৈলাস হল এমন একটি দেশ যে দেশের কোনও সীমান্ত নেই। সারা বিশ্ব থেকে আসা হিন্দুরা সেখানে বসবাস করতে পারে। নিজের দেশে হিন্দুধর্মের চর্চা অধিকার হারিয়েছে এমন হিন্দুরা এই দেশের নাগরিক।" ইতিমধ্যেই নিত্যানন্দ অনলাইনে এটির একটি নমুনা প্রকাশ করেছেন।

নিত্যানন্দ (File Image)

নতুন দিল্লি, ৪ ডিসেম্বর: বিতর্কিত স্বঘোষিত গডম্যান নিত্যানন্দ (Nithyananda) দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে দাবি করেছিল গুজরাত পুলিশ (Gujrat Police)। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ (Rape) ও ছোটো ছেলে-মেয়েদের অপহরণ করে আশ্রমে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে। আর এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর খবর। ইকুয়েডরে তিনি একটি গোটা দ্বীপ কিনে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, সেই দ্বীপের নাম রেখেছেন 'কৈলাস' (Kailaasa)। সেটাকেই তিনি নিজের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, সেই দ্বীপের পতাকা, পাসপোর্ট, এমব্লেম তৈরি হয়ে গেছে। নিত্যানন্দ একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন। সেই ওয়েবসাইটে নিজের তৈরি দেশকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ হিন্দু দেশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অসমর্থিত সূত্র অনুসারে, নিত্যানন্দ মধ্য লাতিন অ্যামেরিকার ইকুয়েডরে একটি দ্বীপ কিনেছেন এবং একে একটি স্বাধীন, নতুন দেশ হিসাবে অভিহিত করতে শুরু করেছেন। ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, "কৈলাস হল এমন একটি দেশ যে দেশের কোনও সীমান্ত নেই। সারা বিশ্ব থেকে আসা হিন্দুরা সেখানে বসবাস করতে পারে। নিজের দেশে হিন্দুধর্মের চর্চা অধিকার হারিয়েছে এমন হিন্দুরা এই দেশের নাগরিক।" ইতিমধ্যেই নিত্যানন্দ অনলাইনে এটির একটি নমুনা প্রকাশ করেছেন।

ওয়েসবাইট অনুসারে, "নতুন দেশে মন্দির-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র রয়েছে, যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থা উপলব্ধ এই দেশে। শুধু তাই নয়, এটি সর্বজনীন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, নিখরচায় শিক্ষা, নিখরচায় খাবার এবং একটি মন্দির-ভিত্তিক জীবনধারাও উপলব্ধ সেখানে। নিত্যানন্দ এখন নিজের তৈরি দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন এবং এটি চালানোর জন্য অনুদানও চাইছেন। আরও পড়ুন: Citizenship Amendment Bill: সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশে ছাড়পত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

নিত্যানন্দ, যার আসল নাম রাজশেখরণ। তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। ২০০০ সালের গোড়ায় বেঙ্গালুরুর কাছে তিনি একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে খ্যাতি অর্জন করেন। ওশো রজনীশের লেখাগুলির উপর ভিত্তি করে তিনি প্রচার শুরু করেন। ২০১০ সালে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে নিত্যানন্দর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে নিত্যানন্দ খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। পরে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁকে আরও কয়েকটি ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

গত মাসে আমেদাবাদের কাছে তাঁর আশ্রমে যৌন কেলেঙ্কারি এবং মেয়েদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে গুজরাত পুলিশ আদালতকে জানিয়েছিল যে নিত্যানন্দ ভারতে নেই। কর্নাটক পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে জামিন না নিয়েই ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান নিত্যানন্দ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং স্থানীয় পুলিশ পাসপোর্ট পুনরায় নবীকরণের আবেদন খারিজ করে দেয়। অনেক প্রাক্তন ভক্তের দাবি, নিত্যানন্দের আশ্রম সব ধরণের অবৈধ এবং অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। তিনি কীভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হলেন তা নিয়েও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে নিত্যানন্দের মূল আশ্রমের এক কর্মী দাবি করেন যে গত এক বছরে কেউ তাঁকে দেখেননি।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now